ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে বসেই থাইল্যান্ড ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
দেশে বসেই থাইল্যান্ড ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাইমেলায় স্বাস্থ্যসেবার স্টল, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে হোটেল সোনারগাঁওয়ে চলছে চার দিনব্যাপী থাইল্যান্ড ট্রেড ফেয়ার।

মেলার শুরু থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে মেলায় দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ব্যাংকক হসপিটালের স্বাস্থ্যসেবা।

মেলায় এসেই যে কেউ থাইল্যান্ডে ডাক্তারদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে পারবেন।

ভালো মানের স্বাস্থ্য সেবা দিতে বিশ্বে ব্যাংকক হসপিটালের ৫০টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। মেলা উপলক্ষে ডাক্তারদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, ভালো চিকিৎসাসেবা ও ভিসা সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

তাদের স্বাস্থ্যসেবাটি যেনো মেলায় ভিন্নমাত্রা এনেছে। পর্যাপ্ত দর্শনার্থী দেখা গেছে স্টলটিতে। তাদের অনেকেই না জানা অনেক প্রশ্ন করছেন। কেউ প্রশ্ন করছেন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে, কেউবা করছেন ভিসা ও ডাক্তারদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে। স্টলের দায়িত্বরত সবাই হাসিসূলভ আচরণের মাধ্যমে সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।

একইসেবা নিয়ে প্রথমবারের মতো মেলায় হাজির হয়েছেন বামরুনগাদ হাসপাতাল। ফ্রি ট্রান্সপোর্ট সুবিধার পাশাপাশি দোভাষি সুবিধার ব্যবস্থাও রয়েছে তাদের।

এ ব্যাপারে ব্যাংকক হসপিটাল বাংলাদেশ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নীলাঞ্জন সেন বাংলানিউজকে জানান, গত ১৮ বছর ধরে আমরা মেলায় অংশ নিচ্ছি। বিশ্ব মানের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তা দিতে ব্যাংকক হসপিটাল বিশ্বের নানা স্থানে ৫০টি ব্রাঞ্চ করেছে। মেলায় আমরা প্রতিটি রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যয়, পরিবহন সুবিধা, ভিসা সহজীকরণে এবং ডাক্তারদের অ্যাপয়েন্টমেন্টে সহায়তা করে থাকি।

তিনি বলেন, কোনো রোগী থাইল্যান্ডে নেওয়া লাগবে কিনা বা তার সার্জারি করা প্রয়োজন কিনা তার রিপোর্ট পাঠানো হবে আগে। এরপর হাসপাতাল থেকে সিদ্ধান্ত এলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিষয় সবাই জানাতে মেলায় অংশ নিয়েছি।

বামরুনগাদ হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার শাহ মো. রোকনুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, প্রথমবারের মতো আমরা মেলায় এসেছি। আমরা রোগীকে থাইল্যান্ডের চিকিৎসার সব বিষয় জানাবো। তাছাড়া তার ট্রান্সপোর্ট সুবিধাসহ বাঙালি দোভাষিদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হবে।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলার পর্দা নামবে আগামী ৩০ মার্চ। এবারের মেলায় মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।