বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে আরো জানানো হয়, সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি: আমদানি বা রফতানির সার্বিক অগ্রগতি ও বিনিয়োগ প্রবাহ উর্দ্ধমূখী করার নিমিত্ত পরিবেশ সৃষ্টি, মুদ্রানীতিকে সহনীয় মাত্রায় রাখতে বিনিয়োগ বান্ধব মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি, রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে আইনগত সংস্কারসহ কর ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পিত কার্যক্রম, শিল্পনীতি, জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যে যুগোপযোগী শিল্পনীতি প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রমমান নির্ধারণের লক্ষ্যে শ্রম আইন ও ইপিজেড আইন, মেধাস্বত্ত সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন এবং বহুপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়নসহ বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
টিপু মুনশি ১৬ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ দলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, শিল্প মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই এবং বিজিএমই’র প্রতিনিধি রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ৯ এপ্রিল দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। এর আগে ১৯৯২, ২০০০, ২০০৬ এবং ২০১২ সালে চার দফায় বাংলাদেশ ট্রেড পলিসি রিভিউ-এ অংশগ্রহণ করে। বিশ্ব বাণিজ্যে অংশ বিবেচনা করে স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে প্রতি ৭ বছর অন্তর এবং অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছর অন্তর ট্রেড পলিসি রিভিউ করা হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের জন্য ট্রেড পলিসি রিভিউ করা বাধ্যতামূলক। কোনো সদস্য দেশে বাণিজ্য সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে ডব্লিউটিও’র নিয়ম নীতির সঙ্গে কোনো প্রকার অসংগতি থাকলে তাও মূল্যায়ন করা হয় এ সভায়। সদস্য দেশকে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন ও পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ডব্লিউটিও সচিবালয় থেকে এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/