মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শিল্পখাতে দক্ষ জনবল তৈরি, পানি সম্পদের দক্ষ ব্যবহার, ব্যবসার সুযোগ সহজীকরণ, বিনিয়োগবান্ধব আইন ও নীতি কাঠামো প্রণয়নসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাঠামোর প্রশংসা করে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে নরওয়ের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে।
নরওয়েকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্পখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সরকার একটি শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। নরওয়ে এক্ষেত্রে গবেষণা, প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তা করতে পারে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নরওয়েসহ উন্নত বিশ্বে রপ্তানিযোগ্য জনবল তৈরি হবে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে একটি যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারখানাগুলোর খালি জায়গায় সরকারি-সরকারি, সরকারি-বেসরকারি ও ব্যবসায়ী-ব্যবসায়ী যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসতে নরওয়ের উদ্যোক্তাদের
প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জনে কাজ করছে। এসডিজির শিল্প সম্পর্কিত ৬, ৯ ও ১২ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আলোকে বর্তমান সরকার থ্রিআর নীতি প্রণয়ন করছে।
শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ ও বেসরকারিখাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়নে আগ্রহের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
জিসিজি/এএ