ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্ববাণিজ্যে অর্থবহ সুবিধা দিন: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৯
বিশ্ববাণিজ্যে অর্থবহ সুবিধা দিন: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্যগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে সবার কাছে অর্থবহ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।

জেনেভায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ কমিটির সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন। ডব্লিউটিও ট্রেড পলিসি রিভিউ বডির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর টিহাংকির সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এতে অ্যাম্বাসেডর ডি রোবার্ত উপস্থিত ছিলেন।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে এবং এসডিজির লক্ষ্যগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে অর্থবহ সুবিধা প্রয়োজন বাংলাদেশের। বিশ্ববাণিজ্য সুবিধা এ কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য খুবই সহায়ক হবে। ডব্লিউটিও পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সবসময়ই ডব্লিউটিও দোহা ঘোষণার বাস্তবায়ন চেয়ে আসছে। বাংলাদেশ চায় অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধাসহ সব সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ এখন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্ত ও দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়। বাংলাদেশ এখন একটি সম্ভাবনাময় দেশ, যা এরইমধ্যে প্রমাণ করেছে।

বাংলাদেশ এরইমধ্যে এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) সফলভাবে বাস্তবায়ন করে জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ এরইমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ চায় ডব্লিউটিও এবং ক্রেতাগোষ্ঠীর আন্তরিক সহযোগিতা। অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এখন সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে সড়ক, নৌ, আকাশ যোগাযোগ আধুনিক করেছে। আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সমুদ্রবন্দরগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করেছে, কাজ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি নতুন সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। এডিপি দ্রুত অগ্রগামী পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্যতম উল্লেখ করেছে এবং এবছর জিডিপি ৮ ভাগ অর্জনের কথা বলেছে। বাংলাদেশ এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূল বিশ্ব বাণিজ্যে ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছে। ট্রেড পলিসি সময়োপযোগী করা হয়েছে। বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।  

বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরীসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ ট্রেড পলিসি রিভিউ সমাপনী সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
জিজি/আরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।