পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথমকে নারায়ণগঞ্জে চারটি টিমের মাধ্যমে ‘বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সার্ভিস ক্যাম্প’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইনটি শুরু হবে সোমবার (২৩ এপ্রিল)। যা আগামী একবছর চলবে।
বিনামূল্যে এই সেবাগ্রহণের জন্য গ্রাহককে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের ‘হটলাইন ১৬৩৩৯ নম্বরে’ অথবা নিকটস্থ ডিস্ট্রিবিউটর বাং রিটেইল পয়েন্টে যোগাযোগ করতে হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়াটার্স-২ এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এইচআর, ইডব্লিউপিডি অ্যান্ড সেক্টর-এ অ্যান্ড হেড অব আইসিসিবি ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ এহসান রেজা, হেড অব ডিভিশন (বিজনেস ডেভলপমেন্ট) সেক্টর-এ জেড এম আহমেদ প্রিন্স, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের হেড অব অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স মাহবুব আলম ও বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের জিএম (সেলস) জাকারিয়া জালাল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ‘বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সার্ভিস ক্যাম্প’ সর্ম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের জিএম (সেলস) জাকারিয়া জালাল।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বাসা বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত পণ্যগুলোর মধ্যে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার সবচেয়ে নিরাপদ। এই পণ্যটির অসচেতন ব্যবহারের কারণে অগ্নি-দুঘর্টনা ঘটে। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনা তৈরি করতে এ সার্ভিস ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছি আমরা। এতে সঠিকভাবে গ্রাহকেরা এর ব্যবহার করতে পারবেন।
জাকারিয়া জালাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে এলপি গ্যাস ব্যবহার হলেও নতুন ব্যবহারকারীদের অনেকেই পণ্যটির সঠিক ব্যবহার জানেন না। নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সামাজিক দায়বদ্বতা কর্মসূচির (সিএসআর) আওতায় এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
‘আমাদের সার্ভির্সিং ক্যাম্পের প্রতিনিধিরা এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের বাসায় গিয়ে রান্না ঘর দেখবেন। সার্ভিস কার্ডের মাধ্যমে চুলা, সিলিন্ডার ও অন্যান্য উপকরণের অবস্থা সর্ম্পকে ব্যবহারকারীকে অবহিত করবেন। এছাড়া চুলা, সিলিন্ডারের সঠিক ব্যবহার সর্ম্পকেও গ্রাহককে ধারণা দেবেন। ’
তিনি বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালে সৌভাগ্যবান গ্রাহকদের জন্য কুপনের ব্যবস্থা থাকবে। সেই কুপন দিয়ে গ্যাস কিনলে ছাড় দেয়া হবে। শুধু বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের জন্য নয়, যে কোনো এলপি গ্যাস ব্যবহারকারী-ই আমাদের সেবা নিতে পারবেন। এতে ভবিষ্যত দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন গ্রাহকেরা।
জাকারিয়া জালাল আরও বলেন, দেশের বিভিন্নস্থানে সিলিন্ডার ব্যবহারের সময় অগ্নি দুঘর্টনার খবর পাই আমরা। কিন্তু এসব দুর্ঘটনা সিলিন্ডারের কারণে হয়েছে- এমন খবর নাই। অধিকাংশ সময়-ই দেখা যায় চুলা খুলে রাখা হয়েছে, রেগুলেটর ভালোভাবে খোলা হয়নি, দীর্ঘদিন ধরে হোস পাইস বদলানো হয় না, চুলার খুব কাছে সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। বেসিক কিছু বিষয় মিস হওয়ার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে।
জেড এম আহমেদ প্রিন্স বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের সময় যেসব কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, সেসব বিষয়ে গ্রাহককে হাতেনাতে দেখিয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। চুলা, ক্লিপ, রেগুলেটর, পাইপ কিভাবে ব্যবহারকারীকে নিরাপদ রাখবে সে বিষয়গুলোই আমাদের সার্ভিস টিমের প্রতিনিধিরা গ্রাহককে জানিয়ে দেবেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ এহসান রেজা বলেন, গ্রাহকরা সিলিন্ডার ব্যবহার করতে গিয়ে যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, সে দিকে নজর দিয়েই আমাদের এই ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রাহককে সচেতন করার চেষ্টা করবো।
মাহবুব আলম বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস বাজারের প্রবর্তক (পাইওনিয়ার)। মার্কেট লিডার হিসেবে সব সময় বসুন্ধরা গ্রুপের কিছু অগ্রণী ভূমিকা থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ফ্রি ক্যাম্পের আয়োজন করেছি।
অগ্নি-দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, এলপিজির বাইরেও সিএনজি ও অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। কিন্তু দুঘর্টনা ঘটলেই এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সার্ভিস ক্যাম্পের প্রতিনিধিরা গ্রাহকের বাসায় গিয়ে সিলিন্ডারের লিকেজ, সংযুক্ত পাইপ এবং বার্নারের সঙ্গে অন্য সংযোগ বিনামূল্যে পরীক্ষা করবেন। বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের ফেসবুক পেজ এবং পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্যাম্পেইনের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
এসই/এমএ