ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শনের নির্দেশ: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
নতুন কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শনের নির্দেশ: কৃষিমন্ত্রী সভায় বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

ঢাকা: প্রকল্পের অগ্রগতি, মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সম্পর্কে তদারকি ও জানার জন্য মন্ত্রণালয়সহ সব সংস্থা থেকে নতুন কর্মকর্তাদের বেশি বেশি মাঠ পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। প্রকল্পের বাস্তব অবস্থা এবং এর প্রকৃত ফলাফল প্রতিমাসের সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

একইসঙ্গে কৃষি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিকায়ন উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণের মান বাড়ানো নির্দেশ দেন তিনি।    

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় মাসিক (সেপ্টেম্বর) এডিপি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, তৈল বীজ আবাদ বাড়াতে চরাঞ্চলে বাদাম ও সয়াবিনের আবাদ বাড়াতে হবে। বাদাম থেকে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ তেল পাওয়া যায়। সয়াবিন আমাদের দেশে পোল্ট্রিশিল্পে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এর উৎপাদন বাড়লে আমদানি হ্রাস পাবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ল্যাবগুলো অ্যাক্রিডিটেড করার উদ্যোগ গ্রহণ করে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। কার্যক্রম গতিশীল করতে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা সবসময় থাকবে বলে জানান তিনি।

কৃষিসচিব বলেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এগুলোর জন্য অনেক কাজ করতে হবে। প্রকল্প পরিচালককে প্রকল্পটি সংশোধন করে পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি।

সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়নেরও তাগিদ দেন। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কাজু বাদামের আবাদ দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশ দেন। প্রকল্প পরিচালক জানায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে জানান।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ জানান, স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই ল্যাব থেকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলায় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহায়তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৫ প্রকল্পের অনুকূলে ১ হাজার ৭শ ৩৯ দশমিক ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব সংস্থার বৃহৎ বরাদ্দপ্রাপ্ত ২৬টি প্রকল্পের অনুকূলে ১ হাজার ৪শ ৫১ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট এডিপি রবাদ্দের ৮৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর অনুকূলে মোট ৭শ ০৭টি দরপত্র আহ্বানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর/২০১৯ পর্যন্ত ২শ ২৮টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, এবং ৪৫টি দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ধানের আদ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ২ হাজার ৭শ ১৫টি ময়েশ্চার মিটার সরবরাহের পদক্ষেপের মধ্যে ৯শ টি ময়েশ্চার মিটার বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।