ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারের কাছে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুদ, কারসাজি করলে ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
সরকারের কাছে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুদ, কারসাজি করলে ব্যবস্থা বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন

ঢাকা: পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের কাছে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুদ আছে। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) থেকে টিসিবি’র মাধ্যমে ৩৫টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হবে। 

মিয়ানমার থেকে দুইটি জাহাজ নৌবন্দরে এসেছে। একটির পণ্য খালাস হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বাণিজ্য সচিব।

সচিব বলেন, দেশি পেঁয়াজ ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ মিলিয়ে মজুদ সন্তোষজনক রয়েছে। মনে করি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা পেঁয়াজের বাজার দর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, এর কোনো যুক্তি নেই। যারা মজুদ করবেন এবং বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।  

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা কৃষি ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা নিচ্ছি। আমাদের ঘাটতি খুব বেশি না। যেহেতু আমরা খাদ্যে স্বয়ঃসম্পন্ন হয়েছি, কাজেই পেঁয়াজ-রসুন-আদা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে ভবিষ্যতে আমদানির দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়।  

বাণিজ্য সচিব বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এলসি ওপেন করা আছে। একইসঙ্গে দেশি পেঁয়াজের মজুদ পরিস্থিতি জানতে একজন যুগ্ম সচিবকে পাঠিয়েছিলাম এ বিষয়ে তথ্য আনার জন্য। সেখানে দেখা গেছে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের মূল্য মোটামুটি প্রতিকেজি ৬০ টাকা ছিল। কিন্তু ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা বসে নেই। এ বিষয় নিয়ে আজ সকালে বসেছিলাম।

তিনি বলেন, একটি ভালো খবর হলো মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার যে প্রক্রিয়া ছিল সেটার দুইটি জাহাজ এসে পৌঁছেছে নৌবন্দরে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি জাহাজের পেঁয়াজ রোববার খালাস হয়েছে। আর একটি জাহাজ আজ খালাস হবে। মিয়ানমার থেকে দুইটি চ্যানেলে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া চলমান। আসতে যতোটা সময় লাগতে পারে। তবে সময়টা আমি বলতে চাচ্ছি না। যে কোনো মুহূর্তে আসতে পারে।

সচিব বলেন, দেশি পেঁয়াজের মজুদ যথেষ্ট রয়েছে। মজুদ পরিস্থিতি জানতে ১০ টিম পাঠাচ্ছি, যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ১০টি জেলায় যাবে। যেখান থেকে বেশিরভাগ পেঁয়াজ আসে। এছাড়া বিভিন্ন স্থলবন্দর যেমন বেনাপোল, বাংলাবান্ধাসহ বিভিন্ন বন্দরে আমাদের কর্মকর্তারা থাকবেন। তাদের কাজ হবে মনিটরিং করা।

তিনি বলেন, টিসিবিকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি এতোদিন তারা ১৬টি ট্রাকে করে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এখন সেটা বাড়িয়ে কাল থেকে ৩৫টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করবে। আমরা সবসময় মনিটরিং করছি। আশা করছি আগামীকাল বা দ্রুত এর সুফল পাওয়া যাবে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট রয়েছে। ভোক্তা অধিকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ চারটি টিম কাজ করছে।  

এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর গত ২০ ঘণ্টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ বাজারে প্রকারভেদে কেজিতে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।  

এছাড়া খোলা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯/আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা
জিসিজি/জেডএস​

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।