ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আঞ্চলিক সহযোগিতায় পরিবর্তন হবে অর্থনীতির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
আঞ্চলিক সহযোগিতায় পরিবর্তন হবে অর্থনীতির আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব এবং সুযোগ নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব এবং সুযোগ নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রেডিসন ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সহযোগিতা (সিয়াকো) ফাউন্ডেশন ও ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউআইইএফ) ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ‘আঞ্চলিক সহযোগিতা: রূপান্তর বা পরিবর্তনের অর্থনীতি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী গোলটেবিল আলোচনা হয়।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বাণী পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিয়াকো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাসেম খান, সিয়াকো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন, ডব্লিউআইইএফ এর তান সিরি ওয়ান, মোহাম্মদ জাহিদ প্রমুখ। এছাড়া প্রথম দিনের চারটি সেশনে দেশ-বিদেশের আলোচকরা অংশ নেন।  

প্রথম দিনের প্রথম দু’টি সেশনে আলোচকরা অবকাঠামো উন্নয়ন, সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সহযোগিতা, বিশ্বব্যাপী দ্রুত উন্নয়নে ইসলামী অর্থনীতির বিভিন্ন দিক বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি ও বাস্তবায়ন। আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের যুগে হালাল শিল্পের বিকাশ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন।  

সেখানে জানানো হয়, চূড়ান্ত অধিবেশন সিয়াকো একটি আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের প্ল্যাটফর্ম গঠন করবে, যা এই দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপকে নির্বাচিত এশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আলোচকরা জানান, একটি সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক অর্থনীতি বাড়ানোর উপায় হচ্ছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সার্বিক সহযোগিতা। এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিগুলো আঞ্চলিকভাবে আরও সংযুক্ত ও পরিণত হয় এবং ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অধীনে অনুঘটকের ভূমিকা নিতে পারে।

আলোচনায় জানানো হয়, ১৮ বিলিয়ন মুসলমানের সঙ্গে ইসলামী অর্থনীতি অবিচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি ভোগ করছে। ইসলামী ফিন্যান্সের ক্ষেত্রে এটি ২০১৭ সালে ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদ সম্বলিত একটি চূড়ান্ত ক্ষেত্র এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলেও জানানো হয়।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিপি), এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০১৯ এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ২০১৯ সালে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২০ সালে তা ৭ শতাংশ ছাড়াবে।

অর্থবছর ২০১৯ এর অনুমানকে ছাড়িয়ে গেছে, বাংলাদেশ শক্তিশালী বেসরকারি খরচ এবং রপ্তানিতে ৮ দশমিক ১ শতাংশ গতি বাড়িয়েছে। তবে কৃষিখাতে উৎপাদন প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯,২০১৯
পিএস/এফএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।