ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধর্মঘট ১০ দিন চললেও চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
ধর্মঘট ১০ দিন চললেও চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা: পরিবহন ধর্মঘট ৭ থেকে ১০ দন চললেও ঢাকায় চালের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ আশ্বাস দিয়েছেন।
 
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের দ্বিতীয় দিন এই বৈঠক হয়েছে।


 
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ দিনও যদি পরিবহন ধর্মঘট থাকে, ১০ দিনও যদি থাকে, বাবুবাজারে যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক থাকে, ঢাকার বাজারে বিন্দুমাত্র কারণ (দাম বাড়ার) নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না গ্যারান্টি দিলাম, আমার সোজা কথা।
 
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেলে চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জেনেছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে চালের মজুদের কোনো ঘাটতি নেই। মিল মালিক ও বাজার মনিটর করে দেখা গেছে, মজুদের কোনো ঘাটতি নেই, আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই, রপ্তানি করার জন্য প্রস্তুত আছি।
 
‘চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই, কেউ যদি বৃদ্ধির চেষ্টা করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি, ভোক্তা অধিকারে চিঠি দিয়েছি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। যদি কেউ চালের দাম বাড়াতে চায়, তাহলে কোনোক্রমেই সহ্য করা হবে না, প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ’
 
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী জানান, মোটা চাল ওএমএস ডিলাররা লোকসানের কারণে তুলতে পারছে না। কারণ রেট হচ্ছে ৩০ টাকা, সেই চাল বাজারে ২৬-২৭ টাকা। খুচরা বাজারে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে, যেটা সাধারণ ভোক্তাদের আতে ঘা লাগে, আমরা এটি ছাড় দেবো না, এটি চলতে দেওয়া হবে না। পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে, মনিটরিং করতে হবে।
 
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বেলেন, চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ করতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন মজুদ আছে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি গোডাউনে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে। দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
সাধন চন্দ্র বলেন, গত ৭ দিনে মিনিকেট প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাড়ানো উচিত হয়নি। খুচরা বাজারে এটি হচ্ছে, চেষ্টা করবো দাম যেন আর না বাড়ে।
 
‘প্রয়োজন মনে করলে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়েকে চিঠি দিয়েছি, মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। সময় হলে দেবো আর কী কী ব্যবস্থা নেবো। ’
 
মন্ত্রী বলেন, গতবারের চেয়ে ধানের দাম কম রয়েছে তাই চালের দামও কম হতে হবে এটাই কথা। কৃষক দাম পাবে না, মধ্যস্বত্বভোগী বেনিফিট বেশি নেবে, এটা চলতে দেওয়া যাবে না।
 
কত দিনের মধ্যে দাম কমবে জানতে চাইলে সাধন চন্দ্র বলেন, এখন থেকে যেন না বাড়ে এজন্য মিটিং করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার জরুরি ভিত্তিতে (অভিযানে) যাবে।
 
বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, মিল মালিকদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করলাম, কোনো কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়নি, প্রান্তিক দুর্যোগের কারণে ধানের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে, তবে বাজার এখন স্থির দিকে আসছে। আমন ধান একবারে উঠলে এ রকম হতো না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।