ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে আগামী ৬ মাসের লবণ মজুদ রয়েছে: শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
দেশে আগামী ৬ মাসের লবণ মজুদ রয়েছে: শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা: দেশে বর্তমানে আগামী ছয় মাসের চাহিদার পরিমাণ লবণ মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, গত মৌসুমে ১৬ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিকটন জাতীয় চাহিদার বিপরীতে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া লবণ মিল ও চাষি পর্যায়ে ৬ লাখ ১১ হাজার মেট্রিকটন লবণ মজুদ রয়েছে।



বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ডিজিটাল ওয়েজ সামিটের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে রাজধানীতে লবণের ট্রাকসেল চালু করেছে বিসিক। ভোক্তাদের সুবিধার্থে বুধবার থেকে বিসিক রাজধানীর চারটি স্পটে খোলা বাজারে লবণ বিক্রি শুরু করেছে। স্পটগুলো হচ্ছে- উত্তরা বিজিবি মার্কেট, ধানমন্ডি ৯/এ, মিরপুর-১ এবং লালবাগ শ্যামা সল্ট মিল প্রাঙ্গণ। প্রতি কেজি চিকন লবণ ৩০ টাকা এবং মোটা লবণ ১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট লবণ মিলের সংখ্যা ২৭০। এর মধ্যে বর্তমানে ২২২টি মিল চালু রয়েছে। চালু মিলগুলোর সর্বমোট দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ হাজার ৫২০ মেট্রিকটন। অন্যদিকে, ভোজ্যলবণের দৈনিক জাতীয় চাহিদা ২ হাজার ৪৫৪ মেট্রিকটন। ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা কম থাকায় মিলগুলো উৎপাদন কমিয়ে দৈনিক ৩ হাজার মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন করছে।

তিনি বলেন, গতকাল (১৯ নভেম্বর) মিলগুলো থেকে বাজারে মোট ৩ হাজার ২শ মেট্রিকটন লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। নতুন মৌসুমে উৎপাদিত লবণও ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত মজুদের ফলে শুধু ছয় মাস নয়, আগামী একবছরেও লবণের কোনো ঘাটতি হবে না।

আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সূচিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। পদ্মাসেতু, রামু, ভোলা ও নাসিরনগরের ঘটনা, যানবাহন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ইত্যাদি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে এ ধরনের মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চলছে।  

গত মৌসুমে লবণের জাতীয় চাহিদা ১৬ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিকটন। সেসময় লবণের প্রকৃত উৎপাদন ছিল ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিকটন।

গতকাল পর্যন্ত (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত মিল ও চাষি পর্যায়ে প্রকৃত মজুদ ৬ লাখ ১১ হাজার মেট্রিকটন। যা দিয়ে দেশের ছয় মাসের লবণের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।