ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজশূন্য বাগেরহাটের বাজার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
পেঁয়াজশূন্য বাগেরহাটের বাজার দোকানে পেঁয়াজ নেই। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের অধিকাংশ বাজারগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে জেলার বেশিরভাগ বাজারে পেঁয়াজ নেই। দামকে মূখ্য বিবেচনা না করে, বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গেলেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ফলে বাজারে পেঁয়াজ না পেয়ে ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

এদিকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির তারতম্য দেখে প্রশাসনের চাপে এটি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

অপরদিকে জেলা বাজার কর্মকর্তারা বলছেন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলেই চলমান সংকট কেটে যাবে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট শহরের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা দেখা যায়, কোনো দোকানে পেঁয়াজ নেই। ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। এমনকি আড়তদারদের ঘর বা গোডাউনেও পেঁয়াজ নেই। তবে রসুন, মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, আলুসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ রয়েছে। যেসব দোকানের সামনে বড় ঝুড়িতে নিয়মিত পেঁয়াজ রাখা থাকতো, সেসব দোকানের সামনে পেঁয়াজের ঝুড়িও নেই। তবে, কোনো কোনো দোকানি খুব গোপনে ৩শ টাকা কেজি দরে কিছু পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ননী গোপাল নামে একজন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বাগেরহাটের বাজারে দফায়-দফায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আজ এসে দেখি একেবারেই পেঁয়াজ নেই। এতে আমি খুব অবাক হয়েছি।

নাসিমা বেগম নামে  আরেক ক্রেতা বলেন, তিনদিন আগে বাজার থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে দেশী পেঁয়াজ কিনেছি। দাম বেশি থাকায় বেশি নিতে পারিনি। তাই ফের পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। কিন্তু, বাজারে এসে দেখি কোনো দোকানে পেঁয়াজ নেই।

খুচরা ব্যবসায়ী মো. হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তে পেঁয়াজ নেই। ফলে ক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি না। এজন্য বাজারে পেঁয়াজ নেই। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে জেলার অন্যতম বড় বাজার মোরেলগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজের ভয়াবহ সংকট দেখা যায়। কোনো দোকানেই পাওয়া যায়নি পেঁয়াজ।

কাঁচা বাজারের ওহাব স্টোরের আজিম বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের ব্যাপারে প্রশাসন খুব সোচ্চার। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে ১শ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে। কিন্তু পাইকারি বাজার থেকে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়। এত লোকসান করে কীভাবে পেঁয়াজ বিক্রি করব?

আরেক দোকানি কবির হোসেন বলেন, দাম বেশি। তাই পাঁচদিন ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করি না।

এ চিত্র শুধু বাগেরহাট শহর আর মোরেলগঞ্জ নয়। জেলার কচুয়া, সাইনবোর্ড, বাধাল, চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট, রামপাল, মোংলাসহ বড়-ছোট বাজারগুলো পেঁয়াজের চিত্র একই রকমের। তবে, স্থানীয় কিছু চাষির ক্ষেতে হওয়া আগাম পেঁয়াজের কালি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তার কেজিও পেঁয়াজের থেকে নেহাত কম নয়।

বাগেরহাট জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, শুধু বাগেরহাট নয়, সারাদেশেই পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাজারে নতুন দেশীয় পেঁয়াজ উঠলে বাগেরহাটে এটির সংকট কেটে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।