ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উৎপাদন ও আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
উৎপাদন ও আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে

ঢাকা: উৎপাদন ও আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।

রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে হবে। পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পেঁয়াজের দাম বাড়াটা অনেকটা আকস্মিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার ট্যারিফ কমিশন, টিসিবিসহ সবাইকে নিয়ে আমরা আজ বৈঠক করেছি। বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্যের বাজার যেন স্বাভাবিক থাকে এ ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। এজন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিয়ে আগামীতে একটি সভা করবো। সভায় যারা পণ্য আমদানি করেন শুধু তারাই থাকবেন তা নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ট্যারিফ কমিশন, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে নিয়ে সভাটি করবো। সভায় পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা কত? কী পরিমাণ আমদানি হয় সেটি আলোচনা হবে এবং সে রকমভাবেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে করে আকস্মিকভাবে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির যে ঘটনাটি ঘটেছে তা আর হবে না।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাহিদার ৬০ শতাংশ আমরা উৎপাদন করি এবং ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ আমাদের আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ভারত থেকে আসে। ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়ে এবং গত ২৯ সেপ্টেম্বর রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।  

তিনি বলেন, আগে চাল ভারত থেকে আমদানি করা হতো, এখন আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছি। এজন্য কৃষক যাতে ধানের দাম পায় সেজন্য চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ ডিউটি করে দিয়েছি। যাতে কৃষক ধানের দাম পায়। চালের মতো পেঁয়াজেও আমাদের আমদানি ও উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা যাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়েও আলোচনা হবে।

আগামী দুই বছরের মধ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা রপ্তানি করবো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিমাসে আমাদের এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সেখানে বর্তমানে ২৫ হাজার টন আমদানি হচ্ছে। ৭৫ হাজার টন পেঁয়াজ ঘাটতি রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের সাড়ে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ প্রয়োজন। তাই নিজস্ব উৎপাদন ও আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।

কবে নাগাদ পেঁয়াজের দাম কমবে এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে। মিশর থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান এসেছে। আরো বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসছে, সেগুলো এলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯/আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।