ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজিতে স্বস্তি, অপরিবর্তিত মাছ-মাংস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
সবজিতে স্বস্তি, অপরিবর্তিত মাছ-মাংস

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সবজির দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এছাড়া মাংস, ডিম, মুরগি, ডাল, চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলও  বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজধানীর মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল কাঁচা বাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে কেজিপ্রতি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো (কাঁচা) ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম (কালো) ৪০ টাকা, শিম (সাদা) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুরাতন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।

দাম কমে প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ক্ষিরা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

তবে কিছুটা বেড়েছে মরিচের দাম। কাঁচামরিচ বাজারভেদে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া ৫ থেকে ১০ টাকা কমে আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৬০ টাকায়। এসব বাজারে আটিপ্রতি (মোড়া) কচুশাক ৫ টাকা, লালশাক ৮ থেকে ১০ টাকা, মুলা ৮ থেকে ১০ টাকা, পালংশাক ৮ থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দাম কমেছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে আমদানি করা মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। দেশি নতুন পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে, আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

মো. নাসিম নামে শান্তিনগর বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। এটা ভালো দিক। তবে গত বছরের এসময়ের তুলনায় এবছর এখনও বাড়তি মনে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম এখনও সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে আসেনি।

সবজি বিক্রেতা হারুন বলেন, এখন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দামও কমেছে। তবে সবজির দর নির্ভর করে মাল সরবরাহের ওপর, মাল কম হলে দাম বাড়ে। এখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে আগের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এসব বাজারে প্রতি কেজি (এক কেজি সাইজ) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে। জাটকা ইলিশের কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি ২৬০ থেকে ২৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, বকরি ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, ডাল, চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
ইএআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।