ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকার চায় দেশে তৈরি হোক ‘ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
সরকার চায় দেশে তৈরি হোক ‘ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট’

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে ফায়ার অ্যান্ড সেফটির যে ইকুইপমেন্ট দরকার তার অধিকাংশই আমদানি করতে হয়। কিন্তু সরকার চায়, এসব যন্ত্রপাতি দেশেই তৈরি হবে। ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট তৈরিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-ইফসি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ফায়ার অ্যান্ড সেফটির জন্য যে ইকুইপমেন্ট দরকার তার অধিকাংশই এখনো দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়।

আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি, যেদিন ফায়ার অ্যান্ড সেফটি ইকুইপমেন্টের মেজর অংশ দেশেই উৎপাদন হবে। সরকার চায় ফায়ার সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থাপনা সবকিছু দেশেই হোক। এটা করতে পারলে আমাদের কষ্টার্জিত অর্জন রক্ষা হবে, জীবন মান বদলে যাবে, জনবলের দক্ষতা-সক্ষমতা বাড়বে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

‘ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট তৈরিতে যা যা লাগে আপনারা প্রোপোজাল পাঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করবে, কারণ সরকার ফায়ার সেফটি শতভাগ নিশ্চিত করত চায়। ’

তিনি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা ছিল আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। সেই সংকট আমরা কাটিয়ে উঠেছি। সিকিউরিটি অ্যান্ড ফায়ার সেফটি নিয়ে কাজ হয়েছে। এখন পৃথিবীর সেরা ফ্যাক্টরির বড়গুলো বাংলাদেশে। ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে ৭টি বাংলাদেশে। ১০০টা ফ্যাক্টরি এলিট সার্টিফিকেট পেয়েছে। পৃথিবীর সেরা ওয়াশিং প্লান্টও এইদেশে। এমনকি পৃথিবীর সেরা ডেনিম ফ্যাক্টরিও বাংলাদেশে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, ফায়ার কর্মীরা প্রতিটা দুর্যোগে প্রথম ও দ্রুত পৌঁছে থাকে। কোনো একটা স্থানে যদি এমন হয় যে, আগুন লাগার পর আমাদের পৌঁছার আগেই আগুন নির্বাপন হয় কিংবা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা থাকে তাহলে আমাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই। সেটাই আমাদের চাওয়া।

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডন্টে মো. মুনতাকিম আশরাফ বলেন, ইসাব ফায়ার অ্যান্ড সেফটি নিয়ে কাজ করছে। তবে অধিকাংশ যন্ত্রপাতিই তারা আমদানি করছে। আগামীতে যাতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ  ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় সেই ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে হবে।  

বিজিএমইএর ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডন্টে মোহাম্মাদ আব্দুস সালাম বলেন, তাজরীন ফ্যাশন এর ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সে সময় ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিয়ে আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেক অপপ্রচার করেছে। তবে সরকার আমাদের সহযোগিতা করেছে।

তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-ইফসি-২০২০-এ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্ক, ইউএই, পর্তুগাল, স্পেন, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতসহ ২৫টি দেশের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।

এক্সপোতে মোট ৭৫টি স্টল রয়েছে। যেখানে ফায়ার প্রোটেকশন, ফায়ার ডিটেকশন, সিসিটিভি এবং ভিডিও নজরদারি, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, পাবলিক অ্যাড্রেস, রেসকিউ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টসহ সর্বশেষ উদ্ভাবিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শনের ব্যবস্থা রেখেছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
পিএম/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।