২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।
রোববার (২১ জুন) প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
গণভবন থেকে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপাসন শেখ হাসিনা।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত থাকবেন। একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলেও আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের (প্রধান) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি রোববার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি আগেই প্রস্তুত করেছি। তবে করোনা সংকটের কারণে স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কিছু প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছি। এখন এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে। এমপিরা তৃতীয়বারের মতো বরাদ্দ পাচ্ছেন। এ দফায় বরাদ্দের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে তারা এলাকার রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাটবাজার ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারবেন। তবে একবারে নয়, চার ভাগে প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকা করে এই টাকা বরাদ্দ পাবেন তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে করোনা সংকট মোকাবিলায় অবদান রাখবে। সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় প্রকল্পের কাজ হবে।
তৃতীয় দফার এই প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৩০৫ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৩৬০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, ৫ হাজার ৭৫ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক উন্নয়ন, এক হাজার ৯০ কিলামিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ৭ হাজার ৯৯২ মিটার গ্রামীণ সড়কে (১০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের) সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
এমপিদের জন্য এটি তৃতীয় ধাপের বরাদ্দ। এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রত্যেক এমপি নিজ আসনের অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এসময় ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এটি ২০১০ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালে জুনে শেষ হয়। আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে নিজ নিজ আসনের জন্য এমপিরা আরও ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পান। এসময় ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে ওই প্রকল্প চলমান।
দেশে সংসদীয় আসন ৩০০টি হলেও এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে ২৮০টি আসন। মূলত দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় যে ২০টি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেই আসনগুলোকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত নারী এমপিদেরও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি/