এমন সময় দেশে মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও চাকরি হারানোর ঝুঁকি মোকাবিলায় ২৫ কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
রোববার (২১ জুন) শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির অাবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন সই করেন।
'সেকেন্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট' কর্মসূচির অাওতায় ঋণচুক্তি সই হয়েছে। সংকটের বিষয়ে সরকারের জন্য আর্থিক ক্ষেত্র তৈরি করবে এই ঋণ। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীলতা তৈরিতে সহায়তা করবে। শ্রমিকরা যাতে ভবিষ্যতে বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে না পড়েন সেই বিষয়ে অবদান রাখবে।
এই অর্থায়নটি বাংলাদেশ, নারী, যুবক এবং অভিবাসী শ্রমিকসহ নাগরিকদের জন্য বৃহত্তর কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করবে। তিনটি কর্মসূচি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, শ্রম সুরক্ষা গড়ে তুলবে। বিশ্বব্যাংকের বিশাল অর্থায়ন দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সংকটের সময়ে উন্নততর চাকরিতে অ্যাক্সেস দিতে সহায়তা করবে।
এর অাওতায় সরকার পর্যাপ্ত ও মানসম্মত কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক তিন বছরে ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে। চলতি অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলারের চুক্তিপত্র সই হলো। বাকি ঋণ বাজেট সহায়তা হিসেবে দেবে সংস্থাটি।
এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এ ঋণের অপরিশোধিত অর্থের ওপর শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এমআইএস/এমএইচএম