ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইভ্যালির পৃষ্ঠপোষকতায় ই-ক্যাবে আমের মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
ইভ্যালির পৃষ্ঠপোষকতায় ই-ক্যাবে আমের মেলা ই-ক্যাবে আমের মেলা

ঢাকা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ আয়োজনে শুরু হয়েছে আমের মেলা।

দেশে উৎপাদিত আম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে বিকিকিনির সুযোগ করে দিতে ‘আম মেলা ই-বাণিজ্যে সারাবেলা’ শীর্ষক এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ই-কমার্সভিত্তিক দেশীয় মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি কর্মসূচিতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

সোমবার (২২ জুন) এক অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন।

এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহা-পরিচালক হাফিজুর রহমান, যুগ্মসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বলেন, করোনার কারণে অর্থবাজারে যে প্রভাব পড়েছে তাতে চাষিদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে এই উদ্যোগের কথা চিন্তা করা হয়েছে। করোনা যেমন অর্থনৈতিক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে তেমনি নতুন কিছু করার সুযোগও তৈরি করেছে। ই-ক্যাবকে সঙ্গে নিয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদনকারীকে ই-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত করে সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করার পথ সুগম হবে আমার বিশ্বাস।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, রাজশাহী জেলায় আম বাণিজ্যের সঙ্গে ৯০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। আমের সরবরাহ সহজীকরণের মাধ্যমে আমের বাজার বাড়ালে এই কর্মসংস্থান আরও বাড়বে। চলতি বছর আমের মুকুল আসার পর থেকে কেনো ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয় এবং গ্রাহক পর্যায়ে যেন আমের দাম না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, সারাদেশে অন্তত ৫০ লাখ মানুষকে ন্যায্যমূল্যে এবং নিরাপদে অনলাইন থেকে আম সংগ্রহ করার সুযোগ করে দেওয়া হলো এই উদ্যোগের মাধ্যমে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে এটা বাস্তবায়ন করা হবে এই কর্মসূচি।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমচাষিরা যেন তাদের ফলনের ন্যায্যমূল্য পায় এবং ক্রেতাসাধারণ যেন ঘরে বসে নিরাপদে আম পেতে পারেন, পাশাপাশি অনলাইন শপগুলোর আম সরবরাহ পর্যাপ্ত করতে এই আয়োজন করা হয়েছে। কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকে জনসাধারণ নিরাপদ সেবা দিতে ই-কমার্স সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো বিরতিহীন কাজ করে চলেছে। এই আম মেলা তারই একটা অংশ। মূলত ই-ক্যাবের বারোশ সদস্য প্রতিষ্ঠান থেকে আম বাণিজ্যের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তারা এ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে চাষি ও বাগান-মালিকদের কাছ থেকে আম সংগ্রহ করবেন।

আম অনলাইনে বিকিকিনির জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান এই মেলা কর্মসূচির পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল।

আম মেলা কর্মসূচির সহযোগিতায় আরও থাকছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, হর্টেক্স ফাউন্ডেশন, ই-পোস্ট, ফুড ফর ন্যাশন ও একশপ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।