সোমবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মুজিববর্ষে করোনায় (কোভিড-১৯) ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যেসব উপকারভোগীর মোবাইল ফোন নেই অথবা যাদের পক্ষে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসাব খোলা সম্ভব নয়, তাদের অনুকূলে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের তথ্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়নের ভিত্তিতে ১০ টাকা আমানত সম্বলিত ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে।
চেকবই না থাকলে ডেবিট ভাউচারের মাধ্যমে উপকারভোগীকে অর্থ দিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে কোনো উপকারভোগী আগে থেকে কোনো ব্যাংকের হিসাবধারী হলে, তার অনুকূলে নতুন করে ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজন নেই। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
চলতি বছরের ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের প্রত্যেককে আড়াই হাজার করে টাকা সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
উপকারভোগীদের তালিকায় রয়েছেন- রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেওয়া লকডাউন বা শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এসই/এএ