ঢাকা: আর দুইদিন বাদে ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ। এমন সময়েও রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা কম।
বুধবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে পশুর বেশ কয়েকটি অস্থায়ী হাট ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। এবারের ঈদে অন্যান্যবারের তুলনায় রাজধানীতে অস্থায়ী হাটের সংখ্যাও কম। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) পাঁচটি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১১টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গাবতলীর স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে।
রাজধানীর ভাটারার সাইদ নগরের হাটে গিয়ে তেমন কোনো ভিড় বা আক্রহী ক্রেতাদের জমায়েত দেখা যায়নি। হাতেগোনা কিছু গ্রাহক এসেছেন পশু দেখার জন্য। যারা দেখছেন, তাদের মাঝে আজই পশু কেনার প্রবণতাও তুলনামূলকভাবে কম। দর্শনার্থীরা বলছেন বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারেই পশু কেনার লক্ষ্য তাদের।
এই হাটে পশু দেখতে আসা ইমতিয়াজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এলাকার কাছেই তো, তাই ভাবলাম একটু দেখে যাই। এমনিতে কাল বা পরশু (শুক্রবার) কেনার ইচ্ছে আছে। তবে ভালো কিছু পেলে আজকেও কিনে ফেলতে পারি।
আরও পড়ুন>>>গাবতলী পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা মানছেন না ‘করোনা-শিষ্টাচার’
বৃষ্টির কারণে এবং অনলাইনে পশুর আধিক্য থাকায় হাটে এখনও ক্রেতা উপস্থিতি কম বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। আজগর আলী নামে এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল যশোর থেকে আসছি এই হাটে। এখন পর্যন্ত একটা মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি হয়েছে। অন্যান্যবার কাস্টমার বেশি দেখি। এবার কম। বৃষ্টির জন্য। কাল পরশু বাড়বে আশা করি। তবে অনলাইনেই না-কি সবাই বিক্রি করে ফেলছে।
হাটে ক্রেতা কম আসায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ইজারাদাররা। আফতাব নগর হাটের পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হাট তো বড়। সে হিসেবে যেমন কাস্টমার আসা উচিত, এখনও আসেনি। দেখি কাল আর পরশু কেমন আসে। যদি হাট না জমে তাহলে আমাদের লস হয়ে যাবে।
প্রতিটি হাটেই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি দেখা যায়। হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষ থেকে মেনে চলা হচ্ছে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালত কর্তৃপক্ষের ওপর নির্দেশনা রয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো হাটে জরিমানার তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
এসএইচএস/টিএ