ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গাবতলী পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা মানছেন না ‘করোনা-শিষ্টাচার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
গাবতলী পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা মানছেন না ‘করোনা-শিষ্টাচার’ হাটে মানা হচ্ছে না করোনা-শিষ্টাচার/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: দুইদিন বাদেই উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। তবে এখনও জমে ওঠেনি রাজধানীর গাবতলীর পশুরহাট।

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে অন্যবারের তুলনায় হাটে এবার ক্রেতা অনেক কম। যারাও হাটে পশু কিনতে আসছেন তারা মানছেন না ‘করোনা-শিষ্টাচার’। আবার দেখা যাচ্ছে হাটে কোনো নতুন গরু এলেই দর্শনার্থী ও ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের মুখে কোনো মাস্ক নেই। কেউ কেউ ভিড়ের মধ্যে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব না মেনে গরুর সঙ্গে সেলফি ও ভিডিও করছেন। ফলে থেকেই যাচ্ছে ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি’।

এদিকে গরুর ব্যাপারীরা বলছেন, প্রতিবারের মতো এবারও চাঁদ রাতে হবে মূল বেচাকেনা।  

বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী পশুরহাটে ঘুরে দেখা যায়, শুয়ে-বসে আর গল্প-আড্ডা দিয়ে সময় পার করছেন গরু ব্যাপারীরা। সরকারিভাবে হাটে ‘স্বাস্থ্যবিধি’ ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই। হাটে আসা  কোনো কোনো ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ ব্যাপারীদের মুখে নেই মাস্ক। হাসিল ঘরের সামনে ভিড় লেগেই থাকছে।  

এখানেও মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। গাবতলী হাটের প্রবেশের প্রধান পথের ডান পাশে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু সেটা ব্যবহার করতে কাউকে দেখা যায়নি।

কুষ্টিয়া সদর থেকে চারটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন ব্যাপারী আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, এবার হাটে ক্রেতা খুবই কম। গত রোববার (২৬ জুলাই) হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত একটি গরু বিক্রি করেছি ১২০ টাকায় (এক লাখ ২০ হাজার)। বাকি তিনটে ৩৫০ টাকায় ( সাড়ে তিন লাখ) বিক্রি করে বাড়ি যাবো। কেনা দামে বিক্রি করতে পারলেই হয়। যেন কোনোমতে আমার খরচটা উঠে আসে।  .এই হাটে ২২টি গরু নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে এসেছেন ব্যাপারী মো. দেলোয়ার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৩০ বছর ধরে হাটে গরু বিক্রি করি। এবারের মতো ক্রেতা ও গরু কম কখনো দেখিনি। ইচ্ছে আছে আমার সব গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরা। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।  

তিনি বলেন, বর্তমানে হাটে যে গরু আছে, ঠিকমতো ক্রেতা এলেই গরু বিক্রি হতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ভয়ে মানুষজন হাটে আসছেন না। প্রতিবারের মতো এবারও চাঁদ রাতে গরু বেচাকেনা হবে। এবার ৭০ শতাংশ মানুষ কোরবানি দেবে। বাকিরা পারছে না। করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

গাবতলী পশুরহাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হাটে ক্রেতা আসতে শুরু করেছে। এখনো গরু ট্রাক থেকে নামছে, আসছে। আজকে বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছে। বৃষ্টি শেষে বেচাকেনা বেড়ে যাবে। ঈদের দুই-এক দিন আগে হাটে পুরোদমে বেচাকেনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
এমএমআই/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।