ঢাকা: শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বলেছেন, দেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে বিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সর্বাধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে।
সোমবার (১৭ আগস্ট) ডিজিটাল প্লাটফর্মে ৬৪ জেলায় বিসিকের কর্মরত জনবলের জন্য আয়োজিত ‘ই-ফাইলিং’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিসিক আইসিটি সেল দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করে।
শিল্পসচিব বলেন, আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জাতির পিতার চেতনা ধারণ করে আগামী প্রজন্মের জন্য জ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের ধারা জোরদার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে শিল্পসমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করার লক্ষ্যেই ১৯৫৭ সালে তৎকালীন ইপসিক তথা বর্তমান বিসিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই শিল্প দর্শনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালে শিল্পোন্নত বাংলাদেশ বিনির্মিাণের গুরুদায়িত্ব বিসিক পরিবারের ওপর বর্তায়।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিসিক পরিবারের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদারের মাধ্যমে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে হবে।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সর্বাধুনিক জ্ঞান অর্জন ও প্রযুক্তিতে পারদর্শী হয়ে কর্মদক্ষতা বাড়াতে তিনি বিসিকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান বলেন, বিসিক প্রধান কার্যালয়ের ৯০ শতাংশ নথি বর্তমানে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। বিসিক প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে ৪টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ৬৪টি জেলা অফিস, ১৫টি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ছয়টি মৌচাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই প্রশিক্ষণের পর ই-ফাইলিং পুরো দমে চালু হলে বিসিক অফিসগুলো শতভাগ ই-ফাইলিংয়ের আওতায় চলে যাবে।
প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পরিচালক (প্রযুক্তি ও দক্ষতা) ড. মোহা. আব্দুস ছালাম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ড. গোলাম মো. ফারুক, বিসিক সচিব মো. মফিদুল ইসলামসহ বিসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সে ৬৪টি জেলা কার্যালয়ের একশ কর্মকর্তা-কর্মচারী অনলাইনে ই-ফাইলিংয়ের বেসিক ও এডমিন লেবেল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়:১৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি