ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চলতি বছরেই ঢাকা-দিল্লি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২০
চলতি বছরেই ঢাকা-দিল্লি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির জন্য একটি যৌথ সমীক্ষা করেছে যা সম্ভবত এই বছর সম্পন্ন হবে।  বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা ও ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে ‘প্রবৃদ্ধি, বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ’ বিষয়ক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। এতে ১৫০ জনেরও বেশি শিল্প নেতা অংশ গ্রহণ করেন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি তার বক্তব্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিশেষ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।  

তিনি বর্ধিত যোগাযোগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো আরও দ্রুত অর্জনে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন।  

তিনি গত বছর মেঘালয় ও আসামে তার সফর এবং বিশেষ করে নৌ-পথে যোগাযোগ সম্প্রসারণের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা স্মরণ করেন।

এতে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, যোগাযোগ আমাদের (ভারত-বাংলাদেশ) দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে রয়েছে সবসময়।  

তিনি আরও বলেন, ভারত ২০১১ সাল থেকে সাফটা চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের কাছে বিশাল বাজার উন্মুক্ত করেছে, যেখানে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের শুল্ক ও কোটামুক্ত (অ্যালকোহল এবং তামাক ব্যতীত) প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবৃদ্ধি (৪২.৯১ শতাংশ) অর্জন করেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, উভয় সরকার দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির জন্য একটি যৌথ সমীক্ষা করেছে যা সম্ভবত এই বছর সম্পন্ন হবে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রাথমিক দিকসমূহ ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, চেম্বার এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পরামর্শমূলক সংলাপ হচ্ছে যা তাদের দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সুবিধা দেবে এবং ব্যবসায়ের নতুন নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানের সুযোগ দেবে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এই অঞ্চলে সম্প্রসারিত বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বিপাক্ষিক মূল্য শৃঙ্খল উদ্যোগের (বিভিসিআই) পরিপূরক হবে। তিনি ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের এক্সিম কার্গোসহ ভারতীয় বন্দর থেকে বাংলাদেশে এক্সিম কার্গো ট্রান্সশিপমেন্টের প্রস্তাব রাখেন।

তিনি আরও বলেন যে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ও মূল্য শৃঙ্খলের অন্তর্ভুক্ত হতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে।  

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যকার ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থা বিটুবি সংলাপ পুনরুদ্ধার এবং আরও ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন৷ 

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খল স্থানান্তর বাংলাদেশ এবং ভারতকে বিনিয়োগের দুর্দান্ত গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। এছাড়াও তিনি আইবিসিসিআই সদস্যদের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ২০২০ সাল থেকে আইবিসিসিআই মিডিয়া পুরস্কার ঘোষণা করেন।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিস নিহাদ কবির, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, ভারতীয় হাইকমিশনের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি ড. প্রম্যেশ বাসাল এবং বিআইডব্লিউটিএর সদস্য নুরুল আলম ওয়েবিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে অংশ নেন।  

তারা বলেন, অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যের এই নতুন পন্থাগুলো টেকসই অর্থনৈতিক বিকাশের বিশাল বাজার সম্ভাবনা সঞ্চারে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২০ 
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।