ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম বেড়েছে অধিকাংশ সবজির। সবজিভেদে দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
কাঁচা মরিচের ঝাঁজ না কমলেও নতুন করে দাম বেড়েছে ধনিয়াপাতার। এদিকে সবজির পাশাপাশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। পাইকারি বাজারে দাম না বাড়লেও খুচরায় এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে মোটা চালের দাম। অন্যদিকে পেঁয়াজ-রসুনের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে আদার দাম।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর কাঠাল বাগান, হাতিরপুল, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও শান্তিনগর কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে বর্তমানে প্রতিকেজি হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর (আমদানি) ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া ১০ টাকা বেড়ে প্রতিহালি কাঁচাকলা ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে ও আমদানি করা কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক। এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মূলা ও কলমি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, ডাটা শাক ২৫ টাকা।
আগের দাম রয়েছে পেয়াজ ও রসুনের বাজারে। তবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে আদার। এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। দাম বেড়ে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিদরে।
এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডাল ও ভোজ্য তেল। তবে বেড়েছে মোটা চালের দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৫৫ টাকা, বাসমতী ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আতোপ চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে।
কেজিতে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজিদরে, এক সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজিদরে। প্রতিকেজি ডাবলী ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাংকার ৫০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার।
সবজির বাড়তি দাম নিয়ে হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা সুমন বলেন, বন্যায় দেশের সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে সবজি কম আসছে, তাই দাম বাড়তি। আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
মোটা চালের বাড়তি দাম নিয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা মেরাজ মোবাইল ফোনে জানান, পাইকারিতে কোনো চালের দাম বাড়েনি। খুচরায় হয়তো চাহিদা বাড়ায় খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়াতে পারেন।
মাহমুদুল হাসান রনি নামে হাতিরপুল বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে কোনো পণ্য কম এসেছে কি? আসেনি। তাহলে কেনো বাড়তি দাম রাখা হবে, সব সবজির দাম চড়া। আয় কমায় এখন মোটা আঠাশ চাল কেনা শুরু করেছি। যখন মোটা চালের চাহিদা বেশি ঠিক তখনই কারণ ছাড়াই দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
ইএআর/আরআইএস/