খুলনা: পুঁজিবাজারের মন্দাবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যে কারণে লেনদেনে তলানিতে নামা খুলনার ১৭টি সিকিউরিটিজ হাউসগুলোতে এখন বিনিয়োগকারীর পদচারণা বেড়েছে।
হাউজ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা দুর্যোগের মধ্যেই মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকিং লেনদেনেও গতি এসেছে। যে কারণে পুঁজিবাজারও ফিরতে শুরু করেছে তার স্বাভাবিক অবস্থানে।
বিনিয়োগকারী খন্দকার মাসুম বলেন, টালমাটাল পুঁজিবাজারে কিছুটা গতি ফিরেছে। বাজার চাঙ্গা করতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূলধন, ভালো কোম্পানির আইপিও ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে বাদ সাধে মার্চে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি। করোনাকালীন সময়ে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করে। এরপর নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত বাড়লেও পিছিয়েছে পুঁজিবাজার। নানা কারণে পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতা তৈরি হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থায় নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা দায়িত্ব নেওয়ার পর সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বড় উদ্যোগ নেওয়ায় পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরছে। সেইসঙ্গে ফিরছেন বিনিয়োগকারীরাও।
সোমবার (২৪ আগস্ট) খুলনার ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ হাউজের কর্মকর্তা রুবায়েতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নতুন কমিশন বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে আস্থা ফেরার পাশাপাশি সিকিউরিটিজ হাউজে বিনিয়োগকারীদের পদচারণাও বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিনিয়োগকারীরা হাউজে এসে লেনদেন করছেন। এর ফলে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে।
আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ হাউজের খুলনা শাখা ব্যবস্থাপক তাপস কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ক্রমান্বয়ে চাঙ্গা হচ্ছে পুঁজিবাজার। এতে খুলনার সিকিউরিটিজ হাউজের বিনিয়োগকারীরাও হাউজমুখী হচ্ছেন। তার মতে, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কড়া ভূমিকায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে। দুর্বল কোম্পানিকে ফিরিয়ে দিয়ে ভালো কোম্পানির আইপিও দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কমিশন। কমিশনের এমন কঠোরতার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
এমআরএম/এমআরএ