ঢাকা: প্রায় দুই মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে বিভিন্ন প্রকার সবজির।
অন্যদিকে সবজির সঙ্গে বাড়তি দাম রয়েছে শাকের বাজারেও। শাকভেদে প্রতিমোড়ায় দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল ও মসলার বাজার।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনী বাজার, ফকিরাপুল, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর (আমদানি) ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উস্তা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মানভেদে ঝিঙা-ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে কচুর ছড়া, কচুর লতি, কলা, কাঁচা মরিচের দাম অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে কচুর ছড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিহালি কাঁচা কলা ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা, দেশি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ধনিয়া পাতা কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।
দাম বেড়েছে শাকের বাজারে। এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা, মুলা ও কলমি শাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও ডাটা শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
বর্তমানে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট চাল পুরান ৫৫ টাকা, বাসমতি চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আতপ চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পোলাও’র চাল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, গুটি চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম চাল ৪৫ টাকা, আঠাশ চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা ও এক সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজিদরে।
প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, এংকর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা ও খোলা (সাদা) সয়াবিন ১০০ টাকা লিটার।
শাকিলা নামে টিঅ্যান্ডটি বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ঢাকা শহর এখন নিম্ন ও মধ্যবৃত্তের জন্য না। এখানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অথচ মানুষের আয় কমেছে। বাজারে জিনিসপত্রের সংকট নেই তবুও চাওয়া হচ্ছে বাড়তি দাম। আমরা বিপদে আছি। এভাবেই নিজের অনুভূতি জানান শাকিলা।
টিঅ্যান্ডটি বাজারের সবজি বিক্রেতা হালিম বলেন, বাজারে সবজি নেই। সারা দেশে বন্যার পানিতে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যতটুকু বাজারে আসছে তার দাম চড়া। আমরা বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামেই বিক্রি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
ইএআর/আরবি/