ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

একই কাজে ২ প্রকল্প, প্রশ্নের মুখে অধিদপ্তর

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২০
একই কাজে ২ প্রকল্প, প্রশ্নের মুখে অধিদপ্তর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

ঢাকা: আট হাজার ৮৫০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার পর আবার একই ধরনের কাজ বাস্তবায়নে নতুন করে ২৭৬ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্পের আবদার করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।

একই ধরনের প্রকল্প বার বার নেওয়া যায় না।

এমনকি কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে খতিয়ে দেখা হয় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না। ফলে একই ধরনের প্রকল্পের প্রস্তাব দ্বিতীয় বার করায় ডিপিএইচই-এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আট হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমগ্র দেশের গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ছয় লাখ গভীর ও অগভীর নলকূপ বসানো হবে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের পল্লী এলাকায় এসব নলকূপ বসবে।

অথচ এই প্রকল্পের কয়েক মাস না যেতেই একই ধরনের ‘গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর, মকসুদপুর, কাশিয়ানি, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার পল্লী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন’ নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৬ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করবে বলেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটির মাধ্যমে গোপালগঞ্জের সব কয়টি উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা করে বেশকিছু পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া প্রকল্পটির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় (ফরিদপুর সার্কেল) একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ উইং-২ এর যুগ্ম প্রধান রেজাউল আযম ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, একই ধরনের প্রকল্প বার বার নেওয়া যায় না। আমরা প্রকল্পটির পিইসি সভা করেছি। সভার মাধ্যমে তাদের (ডিপিএইচই) কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২০
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।