ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম চড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০
বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম চড়া সবজি বাজার, ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বাজারে কোনো সবজির ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বন্যার অজুহাতে গত দুই মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রাজধানীর সবজির বাজার।

দফায় দফায় দাম বেড়েছে সবজির। এসময়ের মধ্যে কোনো কোনো সবজির দাম দুই গুণ ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। তবে দাম না বাড়লেও আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁপে, কচুর মুখি ও কাঁচা কলা। আগের চড়া দাম দেখা গেছে শাকের বাজারে। তবে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল ও মসলার বাজার।

দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুল, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি ও খিলগাঁও কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতিহালি ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর (আমদানি) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, মানভেদে ঝিঙা-ধুন্দল ৭০ টাকা, চিচিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা, মুলা ও কলমি শাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ডাটা শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট পুরান ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, বাসমতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আতপ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পোলাও’র চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে।

এছাড়া গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম ৪৫ টাকা, আটাশ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, এক সিদ্দ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজিদরে।

প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাংকর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ১২০ টাকা, মসুর ডাল (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে।  

খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার ও খোলা সয়াবিন তেল (সাদা) ১০০ টাকা লিটার।

এদিকে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আমজাদ নামে হাতিরপুল বাজারে এক বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে মালামাল না এলে দাম এমনিতে বেড়ে যায়। এখন বন্যার কারণে মালামাল সংকট আছে বাজারে। তাই বাড়তি দাম দিয়ে মালামাল কিনতে হচ্ছে। সেখানে দাম চড়া হওয়ায় খুচরায় দাম বেশি।

তবে তার কথার সঙ্গে একমত না এ বাজারের ক্রেতা হাবিব। তিনি বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত তাহলে কেন দাম বাড়বে। সবজির ঘাটতি হলে দাম বাড়বে, কিন্তু এসব বাজারে বিপরীত। ক্রেতার পকেট কাটায় ব্যস্ত বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।