ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকার সার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০
সরকার সার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার সার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।  

তিনি বলেন, দেশে সার নিয়ে কোন সংকট নেই।

সার নিয়ে কৃষকের কোন কষ্ট নেই।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির’ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শিল্পসচিব কে এম আলী আজম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদসহ কমিটির সদস্যরা।  

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে শুরু থেকেই বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদনের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে। প্রথমেই সারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ডিএপি সারের দাম ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ২৮ টাকা, টিএসপি ৮০ টাকা থেকে ২২ টাকা এবং পটাশিয়াম ৭০ টাকা থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করে। এটি ছিল একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। সারের দাম কমানো সিদ্ধান্ত এবং কৃষকসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে বেড়েছে এবং দেশ আজ দানাদার জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

সভায় নিবিড় ও সম্প্রসারিত চাষাবাদের প্রয়োজনে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ১ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া ও ২ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলমান অর্থবছরে ইউরিয়া ২৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ডিএপি ১৫ লাখ মেট্রিক টন, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম প্রভৃতিসহ সব রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।