ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজের ভাণ্ডারেই পেঁয়াজের গায়ে আগুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
পেঁয়াজের ভাণ্ডারেই পেঁয়াজের গায়ে আগুন পেঁয়াজ। ছবি: রাজীন চৌধুরী

পাবনা: পেঁয়াজের ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনাতেই পেঁয়াজের গায়ে আগুন লেগেছে। চলতি সপ্তাহে তিনদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মণপ্রতি এক হাজার টাকা।

এ অঞ্চলের পেঁয়াজ স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হয়ে থাকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে।  

গেল মৌসুমের শেষ দিকে পেঁয়াজের দাম কৃষক বেশ ভালো পেয়েছিলেন। শেষ দিকে পেঁয়াজের বাজারের মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখি হয়। আর সেই দাম নাগালের মধ্যে আনতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিক্রি শুরু করে।

পাবনায় স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদের কাছে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ বাধাই রয়েছে। দাম কম হওয়ায় অল্প অল্প করে বাজারে বিক্রি করছিলেন তারা। সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম চড়া হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেশ লক্ষ্য করা গেছে।  

চলতি সপ্তাহে তিনদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজার একলাফে হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। গত সপ্তাহে পাবনার বিভিন্ন পাইকার বাজার ও হাটগুলোতে সবচাইতে ভালো বাছাই করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার থেকে বাইশশ টাকা মণদরে। আর বর্তমানে সেই পেঁয়াজ তিন হাজার থেকে ৩২ শো টাকা মণদরে বিক্রি হচ্ছে।  

গত সপ্তাহে এক কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় পাওয়া গেছে আর বর্তমানে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। এদিকে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক না থাকায় টিসিবির পেঁয়াজের দিকে ঝুকছে সাধারণ ক্রেতারা।

পাবনার বিভিন্ন পেঁয়াজের পাইকার হাট ও বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। স্থানীয় কৃষক সুযোগ বুঝে পাইকার বাজারে চড়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।  

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয় সুজানগর ও সাথিয়া অঞ্চলে। দেশের মোট উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশ চাহিদা পূরণ হয় এই জেলার পেঁয়াজ থেকে। পাবনায় পেঁয়াজের সবচাইতে বড় হাট বসে আতাইকুলা, সুজানগর, হাজিরহাট, পুষ্পপাড়া, কাশিনাথপুর, বেড়া, সাথিয়া, চাটমোহর ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায়। দেশি পেঁয়াজের সবচাইতে বড় কেনাবেচা হয়ে থাকে এই হাটগুলোতে।

তবে সব মিলিয়ে গত মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হলেও জেলায় পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছিলো। তাই দেশি পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করলে এ অবস্থার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০ 
আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।