ঢাকা: দেশব্যাপী চালসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ওএমএসের (খোলা বাজারে বিক্রি) কার্যক্রম চলমান রাখার আশ্বাস দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার একইসঙ্গে এই বিক্রয় কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ, ঢাকা, চন্দ্রিমা উদ্যান হাউসিংসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ আশ্বাস দেন।
এ সময় খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ মোল্লা, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন কুমার দাসসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ঢাকার ১২০ পয়েন্টে প্রতিদিন ১ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাল ও ২ মেট্রিক টন আটা বিক্রি হচ্ছে। আগেও ট্রাকের মাধ্যমে চাল-আটা বিক্রি করা হতো। এখন স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে জনগণ সহজেই দোকান থেকে ওএমএসের চাল-আটা সংগ্রহ করতে পারছে। এ সময় মন্ত্রী ক্রেতা সাধারণের সঙ্গে কথা বলেন ও এ কার্যক্রম চলমান রাখার আশ্বাস দেন এবং ওএমএস বিক্রয় কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দেশব্যাপী নিত্যপণ্যের বিশেষ করে চালসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তরের ঢাকা রেশনিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীতে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা খোলাবাজারে নির্ধারিত ১২০টি বিক্রয়কেন্দ্রে ডিলার প্রতি ১ মেট্রিক টন চাল ও ২ মেট্রিক টন আটা ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে মহানগরীর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতিকেজি আটা ১৮ টাকা দরে ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
জিসিজি/এএটি