ঢাকা: যশোর, সৈয়দপুর, শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ের সারফেস অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভার-লেককরণ করতে ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ নয় হাজার টাকা ব্যয় করবে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে রানওয়েতে নিরাপদ প্লেন ওঠা-নামা নিশ্চিত করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় যশোরে ২৮০, সৈয়দপুর ২১০ ও শাহ মখদুম বিমানবন্দরে ২৭০ মিলিমিটার পুরুত্বে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভার-লেককরণ করা হবে। বিমানবন্দরগুলোর এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং (এজিএল) সিস্টেমের আপগ্রেডেশন, রানওয়ে সাইড-স্ট্রিপসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রতিটি বিমানবন্দরের জন্য পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি করে আধুনিক অগ্নিনির্বাপক গাড়ি কেনা হবে।
‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে। কয়েকধাপে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা শেষে প্রকল্পটি একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) জনেন্দ্র নাথ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় তিনটি বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশাপাশি টার্মিনাল উন্নয়ন করা হবে। দেশের মধ্যেই যেকোনো ওয়েতে মাঝারি মানের বিমানগুলো উড়তে পারবে। আমরা সিলেট বিমানবন্দর উন্নয়ন করেছি। ফলে সরাসরি লন্ডনে ফ্লাইট চালু হয়েছে। দেশের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে। আন্তর্জাতিকের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ যাত্রী বাড়ছে। এসব কথা মাথায় রেখেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। যশোর, সৈয়দপুর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর অধিক পুরাতন। ফলে রানওয়ের বিটুমিনাস কারপেটিংয়ের আয়ু শেষ হয়ে গেছে। রানওয়ে সারফেস থেকে নুড়ি পাথর ওঠে আসাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলো অধিক সংখ্যক প্লেনের রিপিটেড লোড বহন উপযোগী হয়ে নির্মিত নয়। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি নির্বাচন করা হয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে যাত্রী সংখ্যা। এসব বিবেচনায় যাত্রীবাহী প্লেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। এসব বিবেচনায় নির্মাণের পর থেকে সুদীর্ঘ তিন দশকে রানওয়ের উপরিভাগের বিটুমিনাস কারপেটিংয়ের আয়ু শেষ হয়ে গেছে। এ কারণেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
যশোর বিমানবন্দরের চাহিদা বেড়েই চলেছে। গড়ে প্রতিদিন আট থেকে নয়টি যাত্রীবাহী প্লেন ওঠা-নামা করে। ফলে আট হাজার ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের রানওয়ের বিটুমিনাস কারপেটিং ক্ষতিগ্রস্ত।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গড়ে দৈনিক ১৫টি প্লেন চলাচল করে। বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ৮০০ ফুট ও প্রস্থ ১২০ ফুট। কয়েকবছর আগে রানওয়ের সারফেস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ৬০০ ফুট, প্রস্থ ১২০ ফুট। এ বিমানবন্দরে দিনে চারটি প্লেন চলাচল করলেও ঝুঁকি রয়েছে। মেরামতের মাধ্যমে রানওয়েকে সচল রাখা হয়। এসব কারণেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২০
এমআইএস/টিএ