ঢাকা: আমাদের নিউ নরমাল বা নতুন স্বাভাবিকতায় সাইবার স্পেসে নিরাপদ এক্সেস, ডাটা সুরক্ষা, সুরক্ষিত কানেক্টিভিটি ও প্রাইভেসি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে নিরাপত্তার গুরুত্ব বোঝাতে এবং গ্রাহক ও কর্মীদের সিকিউরিটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তাদের সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করতে ‘সিকিউরিটি ডে’ পালন করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ যাত্রার কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপ গ্রাহক ও কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তাদের সব অপারেটিং মার্কেটে গত ২২ অক্টোবর ‘টেলিনর সিকিউরিটি ডে’পালন করে।
অনলাইনে দায়িত্বশীল আচরণ ও কর্মকাণ্ড আমাদের #ডিজিটালডিফেন্স (ডিজিটাল সুরক্ষ) গড়ার পাশাপশি আমাদের সেবা গ্রহণকারিদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে বলে বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির কারণে অনলাইন ট্রাফিক আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে ই-কমার্স, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, ডিএফএস/এমএফএস এবং অন্যান্য ই- প্ল্যাটফর্মের প্রবৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জালিয়াতি কৌশল গ্রহণ করে অনলাইনে আক্রমণকারীরা আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় হচ্ছে। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং -এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির তথ্য চুরি হতে পারে, অর্থ অপব্যবহার হতে পারে, যা আইডেন্টিটি থেফট ও আর্থিক জালিয়াতিসহ অন্যান্য দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা রাদে কোভাচেভিচ বলেন, ‘ধারাবাহিককভাবে উদ্ভাবন ও আধুনিকায়ন এর মাধ্যমে আমাদের নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহকদের অনলাইন উপস্থিতিতে সুরক্ষা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিজিটাল বাংলাদেশ যাত্রার কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে এবং সাইবার হামলার ঝুকি নিয়ে গ্রাহক ও কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি, যেনো আমরা এক সঙ্গে ডিজিটাল সুরক্ষা গড়ে তুলতে পারি। ’
সচেতনতা তৈরিতে গ্রামীণফোন আবারও অনলাইন সচেতনতামূলক উদ্যোগ ‘ইন্টারনেটের দুনিয়ায় জানতে হবে, কোথায় আপনার থামতে হবে’ নিয়ে এসেছে। নিরাপদ ইন্টারনেট পরিবেশ তৈরিতে ইউনিসেফ ও টেলিনরের সঙ্গে পার্টনারশিপে গ্রামীণফোন শিশু, বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন করতে দেশজুড়ে নানা
কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
আরআইএস