ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশি ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
দেশি ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

ঢাকা: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।  

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় তাঁত, বস্ত্র ও কারুশিল্প বিকশিত হয়েছে, দেশি বাজারের ক্রেতাদের কাছে সেগুলোকে আরও বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছে দিতে হবে।



বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশ (এএফডিবি) আয়োজিত হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল ২০২০’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।  

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম ও ফেস্টিভ্যালের নানা দিক তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স বাংলাদেশ (এএফডিবি) সভাপতি মানতাশা আহমেদ।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে শিল্প মন্ত্রণালয় দেশের বৈচিত্র্যময় বস্ত্র ও কারুশিল্প পণ্য উন্নয়নে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনে (বিসিক) এসব পণ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কাজ করছে। পটুয়া কামরুল হাসান, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মতো প্রথিতযশা শিল্পীরা বিসিকের মাধ্যমে নকশা তৈরি ও উন্নয়নে কাজ করেন।

তিনি বৈচিত্র্যময় দেশীয় তাঁত ও বস্ত্রের বাজার সম্প্রসারণে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি দেশীয় বাজারের প্রতি আরও মনোযোগী হবার জন্য উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশীয় তাঁত ও বস্ত্র পণ্যের মান উন্নয়নে সেখানে আধুনিক প্রযুক্তিসুবিধা পৌঁছে দিতে এএফডিবির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, গ্রামবাংলার  হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী বটতলার মেলা, মাজার ও স্থানীয় বিভিন্ন আয়োজন এবং উৎসবকেন্দ্রিক মেলাগুলো পুনরায় চালু করা হবে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, দেশি বস্ত্রের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ঢাকার পাশাপাশি অন্য জেলায় বিস্তৃত আকারে তাঁত ও বস্ত্র মেলা আয়োজন করতে হবে।

করোনার বিস্তার রোধে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘আমার পণ্য আমার দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগানে হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা মেলার অনলাইন পেজ (https://www.facebook.com/heritagehandloombangladesh) দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মেলায় বয়নশিল্প প্রদর্শন, লাইভ ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ৭০টিরও বেশি অনলাইন স্টলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হবে শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা, খাদি, নকশিকাঁথা, বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি শাড়ি, মনিপুরী কাপড়, রাঙামাটির চাকমাসহ অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কাপড় ও হস্তশিল্পসহ ১৪ ক্যাটাগরির পণ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।