খুলনা: খুলনায় কিছুতেই কমছে না প্রতিদিনের রান্নায় অপরিহার্য আলু ও পেঁয়াজের দাম। প্রায় দুই মাস ধরে পণ্য দু’টির বাজার উচ্চমূল্যেই স্থিতিশীল রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় আলুর দাম নির্ধারণের পরও কথা রাখেননি ব্যবসায়ীরা। সরকারের নির্ধারিত দাম কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু।
আলু-পেঁয়াজের বাজারে মাঝে মধ্যে অভিযান থাকলেও তা পণ্য দু’টির দাম কমাতে পারেছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসছে না আলু ও পেঁয়াজের দাম। ফলে বাজারে এসে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠছেন সাধারণ ক্রেতারা।
তারা বলছেন, করোনার কারণে মানুষের আয় কমে যাওয়া, নতুন করে অনেকের দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া, চাকরি হারানো ও ব্যবসায় বিক্রি কমে যাওয়ার মধ্যে বাজারের এ অস্বস্তি অনেক মানুষকে আরও সংকটে ফেলেছে।
খুচরা বাজারে আলু কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার তিনস্তরে আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এসময় খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ব্যবসায়ীরা তা না মেনে পূর্বের দামেই আলু বিক্রি করছেন। এ অবস্থায় কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সেই নির্দেশনার পরও নতুন দামে আলু বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা।
খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বিক্রি হওয়ার কথা ৩৫ টাকা দরে।
অপরদিকে, সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়নি। ভারত-বাংলাদেশে বন্যাসহ নানা অজুহাতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। খুলনার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। ফলে বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আনতে খরচ বেশি। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আমরা পাইকারি যেমন কিনছি তেমন বিক্রি করছি।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) মতি মসজিদ সংলগ্ন সকালের বাজারে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রেতা মকবুল হোসেন বলেন, আলু পাইকারি কেনা ৪৩ টাকা দরে। তারপর আবার অনেক আলু পঁচে যায়। এখন বিক্রি করবো কত? অনুরূপভাবে পেঁয়াজও বেশি দামে আমাদের কিনতে হচ্ছে।
তিনি জানান, আলু ৫০ টাকা কেজি ও পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলে পেঁয়াজের সংকট কেটে যাবে। দামও কমে যাবে।
নগরীর সন্ধ্যাবাজারের দোকানি বেলাল হোসেন বলেন, আলুর কেজি ৪৮-৫০ টাকা দরে ও পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যে কীভাবে বিক্রি করবো। আমাদের কেনাই তো বেশি দামে। আমাদের কিছু করার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/