পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে চার দেশের সঙ্গে (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান) ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পণ্য আমদানি-রফতানিতে নতুন নিয়ম বেঁধে দেওয়ায় বন্দরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ পরিবেশ। নতুন এই সিদ্ধান্তে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীক ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করছেন বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১ নভেম্বর) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্য পারাপারে নতুন নিয়ম নিয়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভারতের ও দুপুর ২টা থেকে সন্ধা ৬ পর্যন্ত নেপাল ও ভুটানের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ও ভারতের ফুলবাড়ী স্থলবন্দরে পণ্যবাহি গাড়ি পারাপারে ভারতের ফুলবাড়ী স্থলবন্দরে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ চলে আসছিল। তাই এই সমস্যা সমাধানে ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে পণ্যবাহী গাড়ি পাঠাতে নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের এমন এক তরফা সিদ্ধান্তে অসোন্তেষ তৈরী হয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে।
বাংলাবান্ধার ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, ভুটান ও নেপালের গাড়ি দুপুরের পরে বাংলাদেশে আসলে সন্ধ্যায় শ্রমিক সংকটে পরবে। পণ্য খালাস করতে না পারলে সে গাড়িগুলোকে বন্দরে অবস্থান করে প্রতি ট্রাকে ১৪০ টাকা হারে হোল্ড চার্জ দিতে হবে।
ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়িদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিজের দেশের কথা তারা ভাবছে, নিজ দেশে ভিন দেশিদের ওপর অন্যায় একটা নিয়ম চাপিয়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে। আমরা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করি। আমরা চাই যেহেতু চার দেশের ব্যবসায়ীক পয়েন্ট বাংলাবান্ধা- ফুলবাড়ী তাই প্রতিটি দেশের সমান অধিকার দেওয়া দরকার। প্রয়োজনে তারা প্রতিঘণ্টা এক দেশের জন্য বরাদ্ধ করুক। আমরা সবাই সমান অধিকার চাই।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধক্ষ মোজাফ্ফর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এই নিয়মে চললে কতগুলো গাড়ি আটকা যাচ্ছে, তা দেখে বলা যাবে ক্ষতির বিষয়টি। তবে ভূটানের অধিকাংশ গাড়ি ট্রিপার, বিকেলে ঢুকলেও একই দিনে বেরিয়ে যেতে পারবে তাই তুলনামূলকভাবে ক্ষতি কম হবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইনচর্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরাও কিছু জানি না, তবে ওপারে সমস্যা ছিল। রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত ভারতের পণ্যবাহী গাড়ি আসে এবং দুপুর ২টার পর থেকে ভুটান ও নেপালের পণ্যবাহী গাড়ি আসে।
বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (শুল্ক পরিদর্শক) আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়টি পুরো ব্যবসায়ীদের কাছে। আমরা শুধু সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। যদি ব্যবসায়ীরা কোনো অভিযোগ দিয়ে থাকে তবে ভারতের কাস্টমস এর সঙ্গে কথা বলবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২০
এমএমআই/ওএফবি