ফেনী: ফের দরিয়ামুখী হয়েছেন জেলেরা ইলিশ আহরণে ফের নদ-নদীতে ফেরা নিয়ে প্রাণ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে জেলেপাড়াগুলোত। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ফেনীর সোনাগাজী জেলেপাড়ায় গিয়ে এ চিত্রই দেখা মিললো।
এ উপকূলের জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে যাত্রা শুরু করেছে। ভোর থেকে জেলে পরিবারগুলোতে আনন্দের খবর জানালেন প্রিয়লাল জলদাস নামে একজন জেলে।
আয়ের পথে ফিরতে পেরে প্রিয়লাল খুশি। তিলি বলেন, ইলিশে লাভ বেশি, আনন্দও কম না। গেলো মাস থেকে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে উঠেছে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে নদীতে যাওয়া শুরু করেছে এখানকার জেলেরা।
সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার পাল বলেন, উপজেলায় ১ হাজার ৬২৪জন জেলের তালিকা রয়েছে। ইলিশ মাছ ধরেন এমন জেলের সংখ্যা ২৫০ জন। যাদের ১৫০জন সদর ইউনিয়নে এবং ১০০জন চরচান্দিয়া ইউনিয়নে বসবাসরত।
তিনি বলেন, গত মাসের ১৪ তারিখ থেকে ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হলে আড়াইশো জেলের প্রত্যেককে সরকারিভাবে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিজয় কুমার বলেন, সোনাগাজী উপকূলে প্রাপ্ত ইলিশ মাছের ওজন সাধারণত ৬শ থেকে ৮শ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ উপকূলে আহরণকৃতি ইলিশের পরিমাণ ৭৯ দশমিক ২৮ টন। তবে এখানকার লবণাক্ত পানির মাছগুলোর স্বাদ মিঠা পানির নদীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।
নুর আলম জলদাস নামে একজন জেলে বলেন, বড় ফেনী নদীর এক কিলোমিটারের মধ্যে জেলেরা ইলিশ মাছ ধরেন। আনুমানিক একশো ইঞ্জিন ও নৌকা মাছ আহরণে নদীতে চলে। তবে উন্নত নৌকার অভাবে জেলেরা বঙ্গপোসাগরে মাছ ধরতে যায় না।
আহরিত ইলিশের পরিমাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৩০-৪০ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে।
সুমন জলদাস বলেন, উপজেলার বক্তাডাঙি জলদাসপাড়া, মুছাপুর সীমানা ও চল্লিশ গেইট ঘাটে (মুহুরী স্লুইচগেট) জেলেরা ইলিশ মাছ তুলে থাকে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাত ১২টায় সারাদেশে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারবে। তবে জাটকা ধরা আইনত দণ্ডনীয় হবে।
তিনি বলেন, ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ জাটকা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এসএইচডি/এএটি