ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাধ্যের মধ্যে মিলছে না সাধের ইলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২০
নিষেধাজ্ঞা শেষে সাধ্যের মধ্যে মিলছে না সাধের ইলিশ

ঢাকা: মা ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে উঠছে ইলিশ, তবে পরিমাণে খুবই কম। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) থেকে ইলিশ ধরা শুরু হলেও বাজারে এখনও পর্যাপ্ত আসেনি বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

আর এ সুযোগে আগের তুলনায় বেশি দাম হাকাচ্ছেন দোকানিরা। তবে ইলিশের দাম বেশি থাকায় চাহিদা বেড়েছে অন্যান্য মাছের। দামও কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

ক্রেতার অভিযোগ দীর্ঘদিন পর রুপালি ইলিশের সাদ নিতে চাইলেও আপাতত তা সম্ভব হচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে আগমণ হলেও সাধ্যের মধ্যে মিলছে না সাধের ইলিশ। তবে বিক্রেতরা বলছেন, প্রথম দিকে ইলিশ ধরা কম পড়েছে, তাছাড়া শীতের আগমণে ইলিশ কম ধরা পড়ে নদীতে। তবে ইলিশের সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে আসবে।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, টিঅ্যান্ডটি বাজার, কমলাপুর, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে প্রতি এক থেকে দেড়কেজি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০৫০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর ছোট সাইজের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।

অথচ নিষেধাজ্ঞার আগে এক থেকে দেড়কেজি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হতো ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এককেজি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হতো ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হতো ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হতো ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। আর নিষেধাজ্ঞার আগে ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছিলো ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।

দাম কমেছে অন্য সব মাছের। কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে এসব বাজারে প্রতিকেজি শিং মাছের (আকারভেদে) দাম চাওয়া হচ্ছে ২৩০ থেকে ৫৫০ টাকা, প্রতিকেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৬০ টাকা, তাঁজা রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, তাজা মৃগেল ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মিনার কাপ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ও গলদা ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিরে।

খিলগাঁ বাজারের ক্রেতা মাসুদ মিয়া জানান, অনেক দিন পর টাটকা ইলিশের সাদ নিতে চাইলেও সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে ইলিশ এলেও দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

এ বাজারের মাছ বিক্রেতা রফিক বলেন, শীতের মৌসুমে ইলিশ কম পাওয়া যায়। এসময়ে নদীতের মাছ কম উঠায় দাম বেশি থাকে। তবে মাছের সরবরাহের তুলনায় দাম খুব বেশি নয়, সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
ইএআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।