নীলফামারী: নীলফামারীতে উৎপাদিত বেকারি পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, চানাচুরসহ প্রভৃতি পণ্যে ৪-৫ টাকা করে দাম বাড়বে।
শনিবার (০৭ নভেম্বর) থেকে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
বেকারি মালিকরা জানান, করোনাকালে শ্রমিক ছাঁটাই করেও কারখানা টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিশেষ বেকারি পণ্য তৈরির উপকরণের দাম আকাশ ছোঁয়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নীলফামারী জেলায় মোট ৪৫টি বেকারি ফ্যাক্টরি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্রেড বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্ততকারক সমিতি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি ও সৈয়দপুর ডায়মন্ড কনফেকশনারির মালিক আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু জানান, করোনাকালের ব্যবসায়িক মন্দা ও কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে ফ্যাক্টরিগুলো মহাসংকটে পড়েছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রি আয় দিয়ে পোষাচ্ছে না ফ্যাক্টরি মালিকদের। অনেক ক্ষেত্রে লোকসান গুনছে ফ্যাক্টরিগুলো।
তিনি আরও জানান, বেকারি পণ্য উৎপাদনের মূল উপকরণ পামওয়েল (ভোজ্য তেল), ডালডা, চিনি, ময়দা ও ডিম। এসব উপকরণের দাম দফায় দফায় বেড়ে বর্তমানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ১৮৬ কেজির এক ড্রাম পামওয়েল তেল ১১ হাজার ৫০০ টাকার স্থলে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, ১৬ কেজির এক কার্টুন ডালডা এক হাজার ২০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৫২০ টাকা, ৫০ কেজির ১ বস্তা চিনি ২ হাজার ৭০০ টাকার স্থলে ৩ হাজার টাকা, ৭৩ কেজির এক বস্তা ময়দা ২ হাজার ১০০ টাকার স্থলে ২ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১০০ মুরগির ডিম ৬০০ টাকার স্থলে ৮৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এর বাইরেও রয়েছে নানা প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য (ফুডমেড) ও পণ্যের প্যাকেজিং সামগ্রী।
জেলার সৈয়দপুরের গাউসিয়া কনফেকশনারির মালিক হাজী আওরঙ্গজেব বাংলানিউজকে বলেন, লোকসানের বোঝা বইতে বইতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। তাই বেকারি শিল্প টিকিয়ে রাখতে কাঁচামালের মূল্য কমাতে সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, বেকারি ব্যবসাকে বাঁচাতে সম্প্রতি মালিক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি ক্রেতাদের জন্য অসহনীয় হবে না। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দাম বৃদ্ধির এ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
এনটি