ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালো মুসলিম রিসার্চ সেন্টার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২০
দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালো মুসলিম রিসার্চ সেন্টার

ঢাকা: দেশের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ইসলাম বিষয়ক শিক্ষা-গবেষণা ও মানব সেবামূলক প্রতিষ্ঠান মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)।

দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের স্বনামধন্য সংগঠন ‘চুনতি সমিতি ঢাকার’ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ খান কাছে সম্প্রতি এই অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ রশিদ আল মাজিদ খান সিদ্দীকী মামুন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘চুনতি সমিতি ঢাকার’ ফাইন্যান্স সেক্রেটারি গোফরানুল ওয়াদুদ জুনায়েদ এবং অ্যাসিসটেন্ট ফাইন্যান্স সেক্রেটারি নূর হোসনের।

এই অর্থ দিয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্গত চুনতি ইউনিয়নের গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘চুনতি সমিতি ঢাকা’ বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অসহায়-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। চলমান করোনা মহামারির সময়েও খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে সমাজের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি।

এদিকে বাংলাদেশে কোরআন ও হাদিসের ওপর উন্নত গবেষণা, ইসলামী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই এবছর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট www.muslimresearchcentre.com এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সবার কাছে ইসলাম সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ এবং ইসলামে দাওয়াতের কাজ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পুরাতন মসজিদ ও এতিমখানা সংস্কারের পাশাপাশি করোনা মহামারির কঠিন এই সময়ে সুবিধাবঞ্চিত ও বিপদগ্রস্ত আলেমদের পাশে দাঁড়িয়েছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি) এবং ঢাকার গুলশানে সঠিক নিয়মে কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছাড়াও একটি হেফজখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ রশিদ আল মাজিদ খান সিদ্দীকী মামুন বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামে আর্ত-মানবতার সেবা এবং জ্ঞানার্জন-উভয়ের প্রতিই অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইসলামের মহান বাণী সর্ব-সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অসহায় ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত। মহান এই দায়িত্বটি পালনে সহায়তা করার জন্য ‘চুনতি সমিতি ঢাকাকে’ অসংখ্য ধন্যবাদ।

এ প্রসঙ্গে ‘চুনতি সমিতি ঢাকার’ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ খান বলেন, আমাদের এই সমিতির মাধ্যমে আমরা ২০১৪ সাল থেকে দরিদ্র মেধাবীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর দরিদ্র মেধাবী প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি হিসেবে প্রায় সাত লাখ টাকা বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আমাদের এই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সাহায্য করায় মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতি আন্তরিকভাবেই কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্য যে, চুনতি সমিতি, ঢাকার এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য নবম শ্রেণি থেকে শুরু করে আরও ওপরের শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পাবে। চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার অন্তর্গত চুনতি ইউনিয়নের যেসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে, তারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকার যেসব শিক্ষার্থীরা চুনতি ইউনিয়নে অবস্থিত ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে, তারাও আবেদন করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।