ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তাঁতিদের জন্য উদ্যোক্তা পল্লী করা হচ্ছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
তাঁতিদের জন্য উদ্যোক্তা পল্লী করা হচ্ছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

ঢাকা: তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মূলধন যোগানের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার উদ্যোক্তা পল্লী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।  

তিনি বলেন, দেশের তাঁত শিল্পে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করা হবে।

তাঁত বোর্ডের নিজস্ব জমিতে তাঁতিদের জন্য আলাদা করে একটি পল্লী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ পল্লীতে একই স্থানে মেলা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ফার্মগেটের জেডিপিসির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আয়োজিত “তাঁত নীতিমালা-২০২০” বিষয়ক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসি এবং বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য রেজাউল করিমসহ অন্যরা।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁত বস্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ব্যবসার স্থান সংকুলান করা হবে। তাঁত বস্ত্র আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রপ্তানির জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হবে। তাঁত পণ্যের বাজারজাতকরণ সুবিধা সৃষ্টি করা হবে এবং পরিবর্তিত বাজারে ভোক্তার চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন এবং দক্ষ ডিজাইনার ও মানব সম্পদ তৈরি করতে কাজ করা হবে। ’

তিনি বলেন, ‘তাঁত শিল্প এবং তাঁতিদের উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। যেসব পরিকল্পনা বা নীতিমালা প্রণয়ন করলে তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয় সেরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। আমি আশা করি, এ কর্মশালার মাধ্যমে তাঁতিদের জন্য যুগোপযোগী, কার্যকর ও সহায়ক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। ’

কর্মশালায় জানানো হয়, মানুষের প্রধান ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হলো বস্ত্র। বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অধিকাংশ যোগান আসে তাঁত শিল্প থেকে। তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম।  

সর্বশেষ তাঁত শুমারি অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ তাঁত শিল্প যোগান দিয়ে থাকে। এ শিল্পের বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ৬৮.৭০ শতাংশ। আর জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের দিক থেকে তাঁত শিল্প খাতের অবদান ১২২৭ কোটি টাকার বেশি। এ শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৫ লাখ মানুষ জড়িত।  

আরও জানা গেছে, দেশে বিদ্যমান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।                                                                                                                                                                                  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০ 
জিসিজি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।