ঢাকা: সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে করোনায় ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, দক্ষতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িছেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্ববর) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে সিরিজ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রথম সভার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনীতির সামগ্রিক চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা’। অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্বলিত প্রায় ১ দশমিক ২২ লাখ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির জন্য এসব পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, এ সময়ে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। প্রয়োজনে টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ীমূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। ফলে কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে কোনো পণ্যের সংকট হয়নি।
টিপু মুনশি বলেন, চীনে কোভিড-১৯ শনাক্তের পর মার্চের ৮ তারিখ বাংলাদেশে শনাক্ত হয়। দেশে ৬৬ দিন সরকারি ছুটি কার্যকর ছিল। প্রয়োজনে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থনীতির উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে নিতে হয়েছে অনেক পদক্ষেপ। সে কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাস্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস মার্সি মিয়াং টেমবোন, বিজিএমই প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, সানেম এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
জিসিজি/এএ