ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪ শিল্পকে রপ্তানিসক্ষম করতে ৪ কোটি ডলার ব্যয় হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
৪ শিল্পকে রপ্তানিসক্ষম করতে ৪ কোটি ডলার ব্যয় হবে

ঢাকা: অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত চারটি শিল্পখাতকে রপ্তানিতে সক্ষম করে তুলতে চার কোটি মার্কিন ডলার বা ৩৪০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

এতে রপ্তানিকারকরা অনেক উপকৃত হবেন।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’ প্রকল্পের আওতায় পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কন্সট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি)” কর্মসূচি চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্যু(িয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রপ্তানি বাড়াতে সরকার রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছে। এখন রপ্তানি বাড়াতে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সম্ভাবনাময় চারটি শিল্পখাত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা, হালকা প্রকৌশল ও প্লাস্টিক পণ্য খাত। এগুলো বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় “এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।  

টিপু মুনশি বলেন, দেশ ২০২০ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করছে। ২০২১ সালে আমরা পালন করবো মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিন সূচকে বাংলাদেশ সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রত্যাশা ২০৩০ সালে বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা এসডিজি বাস্তবায়নোলে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।  

‘দেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে “এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত চারটি শিল্পখাতকে রপ্তানিতে সক্ষম করে তোলার জন্য এ কর্মসূচির আওতায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে। ’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্যু. য়ালি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।  

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেদার অ্যান্ড লেদারগুডস, ফুটওয়্যার প্রস্তুত কারক ও রপ্তানি কারক সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং ওয়াল্ড ব্যাংক গ্রুপের বেসরকারিখাত বিশেষজ্ঞ মিসেস সোহনা ফেরদৌস সুমি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯,২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।