ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে নিম্নমুখী সবজি বাজার। সবজির প্রকার ও আকারভেদে খুচরা বাজারে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১ নম্বর বাজার, ২ নম্বর বাজার, ৬ নম্বর বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কলোনি বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি এককেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, সিম ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকায়, করলার ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পাকা টমেটো ১০০ টাকায়, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি পিস লাউয়ে ১০ টাকা দাম কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, ফুলকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। হালিতে ১০ টাকা কমে প্রতিহালি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, ছোট মিষ্টি কুমড়া প্রতিপিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। দাম কমেছে নতুন আলু ও পেঁয়াজের। কেজিতে ১০ টাকা কমে নতুন আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পুরানো দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়, আটাশ চাল ৫০ থেকে ৫৩ টাকায়, পায়জাম ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়, মিনিকেট প্রকারভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়, নাজির ৬০ থেকে ৬২ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ভোজ্যতেল লিটারে ১০ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
সবজির দাম কমার বিষয়ে মিরপুর এক নম্বর কলোনি বাজার সবজিব্যবসায়ী মো. হারুন বাংলানিউজকে বলেন, এখন বাজারে কাঁচা পণ্য বেশি জুটছে এ কারণে দাম কমছে। নতুন আলু আসছে, হয়তো পুরানো আলুর দাম কমবে। শুধু আলু না, এভাবে অন্যান্য পণ্য এলে সামনের দিনগুলোতে সবজির দাম আরও কমবে।
সবজির পাশাপাশি বাজারে দাম কমেছে ডিমের। পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, সোনালী মুরগির ডিম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, ১০ টাকা কমে সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে চিনি, চাল, মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।
বাজারে প্রতি এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায়, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়।
এসব বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই (আকারভেদে) মাছ ১৮০ থেকে ২৮০ টাকায়, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাঙাস ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৬০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়, পাবদা মাছ ২২০ থেকে ২৬০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ মাছ ১৪০ থেকে ১৭০ টাকায়, মিরর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
কালশী বাজারের মাছ বিক্রেতা বাহার উদ্দিন বাহার বাংলানিউজকে বলেন, আগামী সপ্তাহে মাছের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। শীতকালে খালে বিলে পানি কমে যাওয়ার কারণে মাছ সরবরাহ কম হয়। এছাড়া অন্য আরেকটি কারণ হচ্ছে, ঘন কুয়াশায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হয়। আর তখনই মাছ সরবরাহ কমে যায়, বাজারে বাড়তে শুরু করে মাছের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
এমএমআই/এসআই