ঢাকা: তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের গবেষণায় প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ না করায় কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ব্যবসা খাত অপ্রস্তুত। জনসমর্থন নীতি অত্যন্ত অপর্যাপ্ত, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব খুব কম এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ সম্পর্কে বেসরকারি খাতের একটি অংশ কিছুই জানে না।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত দ্য গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস রিপোর্ট (জিসিআর) ২০২০-এ এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সীমিত অগ্রগতির কারণে কোভিড-১৯ সঙ্কটের সময়ে উন্মোচিত সুযোগ সুবিধাগুলো একটি ক্ষুদ্র আকারে উপলব্ধি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের জন্য যেটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় সেটি হলো অদক্ষ সরকারি প্রশাসন। এটি কিন্তু আমাদের ব্যবসা ক্ষেত্রের প্রধানতম দুর্বলতার জায়গা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই বিষয়টি দুর্নীতিকেও ছাড়িয়ে গেছে। যা আমাদের নতুন করে ভাববার জায়গা তৈরি করেছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন দরকার এবং এগুলোর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দায়িত্ব পালনে খানিকটা দুর্বল হয়েছে। তাদের নজরদারির দুর্বলতার আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে না।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে কি-না। সেখানে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে কি-না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নীতি এবং বাস্তবায়নের বিভাজন করে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে কি-না। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার দিকগুলোও আছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মানব সম্পদের দক্ষতা এবং শিক্ষার গুণগত মান ওঁৎপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন আমরা কী ধরনের শিক্ষা নিচ্ছি এবং কী ধরণের সেবা দিতে পারছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
এসই/এইচএডি