ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে পেঁয়াজ-মুরগির দাম, কমেছে ডিম-সবজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
বেড়েছে পেঁয়াজ-মুরগির দাম, কমেছে ডিম-সবজির পেঁয়াজ-মুরগির দাম বেড়েছে, ছবি: জি এম মুজিবুর রহমান

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, করলা এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। তবে ডিম ও সবজির দাম কমেছে।

অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল, গরু, খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকায়, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকায়, করলা ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, পাঁকা টমেটো ২০ টাকায়, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।  

মিষ্টি কুমরার কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি, পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে।

হালিতে পাঁচ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। খিরা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভেন্ডি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। মটরশুঁটির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। ১০ টাকা দাম কমে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

এছাড়া আদার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা।  

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়, মিনিকেট ৬৫ টাকায়, নাজির ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়, স্বর্ণা চাল ৪৬ থেকে ৪৭ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। খোলা ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

পাঁচ টাকা দাম কমে মুরগির এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। ২০ টাকা কমে দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। পাকিস্তানি মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৫৫০ টাকায়, মহিষের মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে হাজার টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, দেশি কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিডা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, গুড়া বেলে ১২০ টাকায়, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. মনু বাংলানিউজকে বলেন, লোকাল খামারিদের কাছে মুরগি নাই। এ কারণেই বাজারে মুরগির সংকট। বড় কোম্পানির পোল্ট্রি ফার্মগুলো মুরগির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এ কারণে খুচরা বাজারে মুরগির দাম চড়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে ছোট ছোট পোল্টি ফার্ম অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। ছোট পোলট্রি ফার্মগুলো এখনো ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ ফার্মগুলোর মালিকরা এখন আর নতুন করে ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে না। এ কারণে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মুরগির উৎপাদন কম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
এমএমআই/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।