ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লকডাউনের আগেই খুলনায় কেনাকাটার ধুম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২১
লকডাউনের আগেই খুলনায় কেনাকাটার ধুম বাজারে ক্রেতাদের সমাগম। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: ধাক্কা-ধাক্কি ঠেলাঠেলি করে সবাই বাজারে ঢুকছেন। সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হবে যে, কারণে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ভিড় করছেন খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় বাজারে (বড় বাজার)।



রোববার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে চৈত্রের প্রখর রোদেও ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, ওয়েস্ট মেকড রোড, ভৈরব স্ট্যান্ড রোড, কালিবাড়ী রোড, কেডি ঘোষ রোড, স্যার ইকবাল রোডের একাংশ ও স্টেশন রোডে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। সবজি, মাছ-মাংস বা শুকনো পণ্যের দোকানগুলো জমজমাট। এমনকি বিপণিবিতানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড়। ক্রেতাদের অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। শারীরিক নিরাপদ দূরত্ব মানারও বালাই নেই। বলতে গেলে শারীরিক দূরত্ব এসব বাজারে খাটছে না।

বেশির ভাগ ক্রেতা চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছেন। অনেকেই আবার রমজানের পণ্য কিনছেন।

বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা জানান, করোনা ফের দিন দিন বাড়ছে। সামনে করোনার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মনে হচ্ছে। এর কারণে প্রয়োজনীয় যা কিছু তা কিনে রাখছি যাতে লকডাউনের মধ্যে আর বের হতে না হয়।

বিক্রেতারা জানান, দুপুরে বড় বাজারে সাধারণত এমন ভিড় থাকে না। লকডাউনের আগে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে আসছেন। বড় বাজারের মুরাদ ট্রেডার্সের ম্যানেজার জিয়াউল হক মিলন বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার লকডাউনের খবর আসার পর বড় বাজারে ক্রেতা সমাগম বেড়ে গেছে বহু গুণে। অন্য সময়ের চেয়ে ক্রেতারা পণ্যও কিনেছেন চাহিদার তুলনায় বেশি। এত ক্রেতা সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি জানান, বেশির ভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছেন। এছাড়া কেউ কেউ রমজানের ইফতার সামগ্রীও কিনছেন।
বড় বাজারের ন্যায় নগরীর নিউ মার্কেট, গল্লামারী বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার, নতুন বাজার, কেসিসি সন্ধ্যা বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে যেকোনো সময়ের চেয়ে ক্রেতা সমাগম কয়েকগুন বেড়েছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, খুলনায় সন্ধ্যা ৭টার পর বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  

একইসঙ্গে পর্যটনকেন্দ্র, পার্ক, বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রাখাসহ ৫ দফা নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দশনা না দেওয়া পর্যন্ত জারি করা এ আদেশ কার্যকর থাকবে।  

আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লিনিক, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্যান্য সব দোকান, বাজার প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।  

সন্ধ্যা ৭টার পর কোনো দোকান, বাজার খোলা থাকলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খাবারের দোকান রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।