ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২১
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: করোনার বিস্তার রোধে দ্বিতীয়বারের মতো সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে মধ্যে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অবস্থিত একমাত্র চতুদের্শীয় স্থলবন্দর (ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) বাংলাবান্ধা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম চলছে।  

এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে করোনা রোধে ব্যবস্থা নিয়ে সচল রয়েছে ‘মেডিক্যাল, বিজনেস ও কুটনৈতিক’ ভিসায় যাতায়াত ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেসন কর্তৃপক্ষ।

তবে ট্যুরিস্ট ভিসা এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে স্থলবন্দর এলাকা থেকে যাত্রীবাহী সব ধরনের গণপরিবহন সেবা বন্ধ থাকায় এই তিন ক্যাটাগরির পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 
এদিকে সরেজমিনে দুপুরে বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও গাড়িচালক ও তাদের সহযোগিরা (হেলপার) মাস্ক পড়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, লকডাউনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়ম মেনে বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। সড়ক পথে এই বন্দর দিয়ে চার দেশেই সহজেই ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রাক চালকরা আমদানি-রপ্তানি করছেন। একইসঙ্গে বন্দরের শ্রমিকদের সব নিয়ম মেনে কার্যক্রম পরিচালনা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

এর আগে গত বছরে করোনার সময় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় যেমন ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের লোকশানের মুখে পড়েছিল। প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে শিল্প কল-কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে এবার লকডাউনের মধ্যে বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল রয়েছে। করোনাকে ভয় নয় সরকারি নির্দেশনা মেনে সচেতনতা বাড়িয়ে আমাদের পথ চলতে হবে। গত বছর করোনায় যে পরিমাণ লোকসান হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা পুষিয়ে নিতে পারেনি। অতএব দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মালামাল আমদানি-রপ্তানিতে বন্দরগুলো খোলা রাখা জরুরি বলেও তিনি জানান।

এদিকে বন্দর সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সরকার বর্তমানে প্রচুর রাজস্ব আয় করছে। লকডাউনে যদি বন্দরটি বন্ধ রাখা হয় তবে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পাশাপাশি সরকার প্রচুর টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে। একইসঙ্গে বন্দরের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকশ’ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পরিবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়বেন। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সরকারের দেওয়া নিয়ম-নীতি মেনে বন্দরে কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।