ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শঙ্কা নিয়ে দোকান-শপিংমল খুলছে ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২১
শঙ্কা নিয়ে দোকান-শপিংমল খুলছে ব্যবসায়ীরা ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১১ দিন বন্ধ থাকার পরে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়ার পরও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলছে সংশ্লিষ্টরা।

শঙ্কার মধ্যে দোকান খুলছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর এলাকার দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর ১ নম্বর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ও আশপাশের এলাকাগুলোর ঘুরে দেখা যায় এখানকার মার্কেটগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। দোকান খুলতেও দেখা যায়নি। এছাড়া মিরপুর ২ নম্বর এলাকার দশ-বারোটি দোকানে একটি শাটার খোলা অবস্থায় দেখা যায়। দোকান মালিক ও কর্মচারীরা আগামী দিন দোকান খুলবে বলে দোকান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায়। অন্যদিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় শাহালি মার্কেট বন্ধ থাকলেও রাস্তার দু'পাশের কিছু দোকানের একটি শাটার খোলা থাকতে দেখা যায়। ওই দোকানগুলোতে কেউ বেচা বিক্রি করছেন, কিছু দোকানে আগামী দিনের জন্য পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় কর্মচারীদের।

মিরপুর ২ নম্বর এলাকার অল স্মার্ট শোরুমের ম্যানেজার রিমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, বিধি নিষেধে আমাদের দোকান বন্ধ ছিল। আগামীকাল দোকান-শপিং মল খোলার নির্দেশনার কারণে আজ দুপুর দোকান পরিষ্কারের জন্য খুলেছি। এই বন্ধে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

গতবারের লকডাউনের বন্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের লকডাউনেও আমাদের ক্ষতি হয়েছিল। মালিক ভেবেছিল এবারের ঈদের সিজনে ব্যবসা করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দ্বিতীয় দফায় বন্ধ রাখতে হলো দোকান। আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছি আমরা। ঈদের আগে দোকান খোলার অনুমতিতে খুব বেশি হলে আমাদের দোকান খরচ ও কর্মচারীদের বেতন উঠে আসতে পারে।

নান্দনিক কিডস ফ্যাশন শোরুমের স্বত্বাধিকারী রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আগের লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেয়েছিলাম এবারের ঈদে। কিন্তু তা পুষিয়ে নেওয়া আর হলো না।

তিনি বলেন, শর্তসাপেক্ষে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা দোকান খোলা রাখতে পারবো। রোজার সময়ে ক্রেতারা ইফতারের পরেই কেনাকাটা করতে আসেন। সেই সময় দোকান বন্ধ করতে হবে। আমার মনে হয় না এই অল্প সময়ে আমাদের বেশি বেচাকেনা করা সম্ভব। এবারও পোশাক ব্যবসায়ীরা তেমন লাভ করতে পারবে না। করোনায় শেষ হয়ে যাচ্ছে পোশাক ব্যবসায়ীরা। সরকারি বেধে দেওয়া সময়সীমা বেচাকেনা করে সর্বসাকুল্যে আমরা দোকান খরচটাই তুলতে পারব। লাভের মুখ আর দেখতে পারবো না।

এর আগে রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে ‌শর্তসাপেক্ষে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে চলতে হবে।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে নির্দেশনা জারি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২১
এমএমআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।