ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হতে পারে ৩ অথবা ১০ জুন

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হতে পারে ৩ অথবা ১০ জুন ...

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চলতি বছরের ৩ অথবা ১০ জুন আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করতে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাড়তি নজর রয়েছে এ বাজেটে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৬ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বেশি।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করা হয়েছিল ১০ জুন। আগামী অর্থবছরের বাজেট এক সপ্তাহ এগিয়ে এনে ৩ জুনও পেশ করা হতে পারে। ওই দিন পেশ না করা হলে ১০ জুনই উত্থাপন করা হবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট।

করোনা ভাইরাস মহামারিতে সামনে এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট। সার্বিক কর্মপন্থায় এসেছে পরিবর্তন। কাজের ক্ষেত্রে বেড়েছে প্রযুক্তি নির্ভরতা। সংকটের মধ্যেই শুরু হয়েছে বাজেট তৈরির কাজ। তবে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মতামত নেওয়া হচ্ছে ভার্চ্যুয়ালি।

এবারের বাজেটে স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্ব পাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন এবং এর অভিঘাত থেকে উত্তরণের দিক।

আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে যে ৯টি খাত অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান পেয়েছে তার মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত খাত রয়েছে তিনটি। খাতগুলো হচ্ছে- করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ। প্রণোদনা প্যাকেজের সফল বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ ও ক্ষতিপূরণ।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি টিকা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ ও চলমান কার্যক্রমের মধ্যে রাখতে হবে।

অন্যান্য অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে কৃষিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার (কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা ও ভর্তুকি)।

তৌফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, মানুষের আয়ের একটি বড় অংশ করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, দেশের চার কোটি মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে। তারা ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করতেন। তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। যারা একেবারেই দরিদ্র তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আয় রোজগার বাড়াতে হবে। দারিদ্র্য যাতে আর না বাড়ে সেটার ব্যবস্থা করতে হবে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটের মতো ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থোক বরাদ্দ রাখার পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
এসই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।