ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলছে দোকানপাট আসছে ক্রেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
খুলছে দোকানপাট আসছে ক্রেতা শপিংমলে ক্রেতাদের আগমন। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: চলমান লকডাউনের মধ্যেই টানা দ্বিতীয় দিনের মতো খুলছে শপিংমল, বিপণিবিতান ও দোকানপাট। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকালে খুলে যাওয়ার পর থেকে দোকানগুলোতে আসতেও শুরু করেছেন সাধারণত ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শপিংমলগুলোতে এই ভিড় বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুর এলাকার বিভিন্ন শপিংমল ও দোকানে এমন চিত্র দেখা যায়। পল্লবী এলাকার মোল্লা মার্কেট, রংধনু শপিংমল, পল্লবী শপিং কমপ্লেক্স, অনিক প্লাজা, নান্নু মার্কেট, মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্স, বেনারসি মার্কেট, মিরপুর ১ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, কো-অপারেটিভ মার্কেট, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মিরপুর নিউমার্কেটসহ ছোট-বড় সব শপিং মলের দরজাগুলো সকাল ১০টার দিকে খুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রধান সড়ক পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোও খুলতে দেখা যায়। বিশেষ করে ১০ থেকে মিরপুর ২ নম্বরগামী সড়কের পাশে থাকা পোশাকের দোকানগুলো দিনের শুরু থেকেই গ্রাহকদের স্বাগত জানাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার পরিবর্তে সময় বাড়িয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

মিরপুর ১১ নম্বরের বেনারসি পল্লি মার্কেটে থাকা জিয়া সিল্ক হাউজের মালিক জিয়া উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আপনারা জানেন মিরপুর ১১ নম্বর থেকে পলাশনগর সড়কের উভয় পার্শ্বে মাসখানেক আগে সিটি কর্পোরেশন অভিযান চালায়। এতে আমরা অনেক দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হই। তবুও ঈদকে সামনে রেখে আমাদের একটি আশা ছিল। লকডাউনের সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমাদেরকে দোকানের কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়, যেসব কারিগররা শাড়ি বানান তাদের মজুরি দিতে হয়। কাজেই দোকান খুলে দেওয়াতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। বিশেষ করে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকলে অনেক মানুষই রমজানের রোজা রেখে আরামসে মার্কেটে আসতে পারবেন। সময় বেশি থাকলে মানুষের মধ্যে তাড়াহুড়াও থাকে না। ফলে স্বাস্থ্যবিধি আরও অধিক পরিসরে নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করি। এদিকে শপিংমলেরও শো-রুমগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা গেলেও ফুটপাত ও প্রধান সড়ক সংলগ্ন হকার দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি পরিলক্ষিত হয় না। বিভিন্ন শপিংমলে প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক প্রয়োগ করতে দেখা গেলেও ফুটপাতের দোকানগুলোতে তেমন কোনো বালাই নেই। দোকানের কর্মচারী এবং গ্রাহক কারও মধ্যেই নেই শারীরিক দূরত্ব। মাস্ক পরিধানে ও খুব একটা আগ্রহী নন অনেকেই। কারোও কারোও মুখে মাস্ক থাকলেও সেটি ঢাকছে না মুখ ও নাক বরং ঝুলছে গলায়।

অন্যদিকে শপিংমলে ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ায় লকডাউনের প্রথম দিনগুলোর তুলনায় আজ সড়কে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের আধিক্য দেখা যায়। পাশাপাশি পুলিশের চেকিং ও জিজ্ঞাসাবাদেও কিছুটা ঢিমেতাল অবস্থায় হতে দেখা যায়। দ্বিতীয় দফা লকডাউনের প্রথম দিনগুলোতে মিরপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা চেকপোস্টের মধ্যে বেশ কয়েকটিই আজ পরিলক্ষিত হয়নি। তবুও মিরপুর ১০, মিরপুর ১, পল্লবী, মিরপুর ১২ নম্বরের এলাকাগুলোতে পুলিশের নিয়মিত উপস্থিতি দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।